বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপির) মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ভোগকারী ১৭ বাংলাদেশীকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় মায়ানমারের মংন্ডুর অভ্যন্তরে ১নং এন্ট্রি/এক্সিট পয়েন্টে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আছাদুদ জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্য প্রতিনিধি দল এবং বিজিপির টিং লিনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আলোচনা শেষে ওই ১৭ বাংলাদেশীকে ফেরত দেয় মিয়ানমার ইমিগ্রেশন এন্ড ন্যাশনাল রেজিষ্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট।

সাজাভোগ শেষে দেশে ফেরত আসারা হলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাশিরা বাড়ির বদিউল আলম, টেকনাফের উত্তর শীলখালীর রহিম উল্লাহ, মুফিজুর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম, কক্সবাজারের রামু থানার দক্ষিণ কলাতলীর সামির, টেকনাফ সদরের গোদারবিলের শাকের আহমদ, কক্সবাজারের ঘোনার পাড়ার জালাল উদ্দিন, সাবরাং হারিয়াখালীর মিজানুর রহমান, লাফারঘোনার নুরুল আলম, হারিয়াখালীর আজিজ উল্লাহ, আব্দুস সালাম, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার নেংটা ফকির পাড়ার হেলাল, শাহপরীর দ্বীপের মোহাম্মদ জালাল, আবু তাহের, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বড়লোনা কুঞ্জুরী পাড়ার সে থো অং মারমা, ইউ সাথোই মারমা ও চট্টগ্রামের বাশঁখালী উপজেলার সরল বাজারের জামাল উদ্দিন।

ফেরত আসাদের মধ্যে জামাল উদ্দিন বলেন, সাগরে মাছ শিকারে গিয়েই ওপারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হন। এদিকে চাকমা ছেলেদ্বয় চোরাইপথে ওপারে বেড়াতে গিয়ে আটক হয় বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে ১২জন দালালের মাধ্যমে সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে আটক হয়।

"