সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)

  ১০ নভেম্বর, ২০১৮

উল্লাপাড়ায় ড্রাগন ফল চাষ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার এর চাষ করছেন। তিনি কৃষি ক্ষেত্রে নতুন আলাদা কিছু করার ভাবনা থেকেই এ ফলের বাগান গড়েছেন। তার এ উদ্যোগ অনেকেরই কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে।

উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের পাগলা গ্রামের আবাদী মাঠে ড্রাগন ফলের এ বাগান গড়া হয়েছে। উপজেলায় কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার প্রাথমিকভাবে ৩৯ শতক জমিতে চাষ শুরু করেন। তার বাবা জহুরুল ইসলাম এ বাগান গড়তে পুরোপুরি উৎসাহ ও যাবতীয় সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। প্রায় তিন বছর আগে জমিটিতে প্রথম ড্রাগনের চারা লাগানো হয়। চারার পেছনে সে সময় প্রায় দুই হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানানো হয়। আবাদী মাঠ ছাড়াও নিজ বসতবাড়ির উঠানে বেশ কয়েকটি ড্রাগন ফলের চারা লাগিয়েছেন। এরই মধ্যে উৎপাদিত ড্রাগন ফল জেলার ফল ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি বিক্রি করে আসছেন। এর পাশাপাশি ড্রাগনের চারাও তৈরি করা হচ্ছে।

প্রতিদিনের সংবাদকে গোলাম সরোয়ার জানান, ড্রাগন ফলের চাষে খরচ খুবই কম। মুনাফা অনেক বেশি। একটি ড্রাগন গাছ ৩৫-৪০ বছর জীবিত থাকে এবং ফল পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, তিনি উৎপাদিত চারা খুবই কম দামে আগ্রহী কৃষকদের কাছে বিক্রি এবং এর চাষাবাদে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তিনি থাই পেয়ারা ও থাই লেবুর বাগানও গড়েছেন।

উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মো. খিজির হোসেন প্রামানিক জানান, এটি ভিনদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে এর আবাদে সফলতা পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলায় ড্রাগন ফলের চাষাবাদ সম্প্রসারণে এরই মধ্যে অনেককেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর চারা উৎপাদনসহ আবাদের নিয়মাবলি অনেকেই তাদের মাধ্যমে জানছেন। এ ছাড়া ড্রাগন ফল চাষকারী গোলাম সরোয়ার এর আগে স্ট্রবেরি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘ড্রাগন ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এর পুষ্টি অনেক বেশি। এটি অর্থকরী ফসল। ভিনদেশি হলেও ড্রাগন ফল সফল ব্যবসা পণ্য এবং কৃষি অর্থনীতিতে বড় উন্নয়ন অবদান রাখবে। উল্লাপাড়ায় ব্যাপকভাবে চাষাবাদ করার পেছনে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close