শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
যমুনার শাখা নদীতেও ভাঙন হুমকিতে গ্রাম ও মসজিদ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার যমুনার পাশাপাশি শাখা নদী জামিরতায়ও ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর জামিরতা (উত্তর) গ্রামের একটি বড় অংশসহ হুমকিতে পড়েছে গ্রামের একমাত্র জামে মসজিদটি। এ ছাড়া উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাঁচিল, চরুয়াপাঁচিল, ভেগা ও বাওইখোলা গ্রামে যমুনার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙন থেকে চর জামিরতা (জামিরতা চরপাড়া) গ্রাম ও মসজিদটিকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় এমপি, উপজেলা নির্বাহী প্রশাসন (ইউএনও), জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জামিরতা ও চর জামিরতা গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জামিরতা নদীতে বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল ভাঙন। এ ভাঙনের কবলে পড়া চর জামিরতা (উত্তর) গ্রামের একমাত্র জামে মসজিদটি। ভাঙন চলাবস্থায় বর্তমানে নদী ও মসজিদের দূরত্ব মাত্র কয়েক ফুট। ভাঙনের গভীরতা প্রায় ২০-৩০ ফুট। স্থানীয়রা জানান, মসজিদটিতে প্রতিদিন ৬০-৭০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। গ্রামের একমাত্র এ মসজিদটি বিলীন হয়ে গেলে মুসল্লিদের নামাজ পড়ার কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। এদিকে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ভাঙন প্রতিরোধে কোনো উদ্যোগ নেয়নি জানিয়ে তারা বলেন, গ্রামবাসী নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ পুঁতে এবং বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতে কোনো ফল আসছে না।
মুসল্লি আনছার আলী বলেন, ‘লোকমুখে শুনি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দির উন্নয়নের জন্য সরকার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুদান দেয়। কিন্তু আমরা আমাদের এই ৬০-৭০ বছর বয়সের পুরাতন মসজিদটিতে কোনো অনুদান পাইনি।’
মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমাদের মসজিদের নিজস্ব ক্যাশ মাত্র সাত হাজার টাকা। কিন্তু গ্রাম এবং মসজিদটিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা এরই মধ্যেই ভাঙন ঠেকাতে বাঁশ, বালি, বালির বস্তা, খলপা, বাঁশের তারাই ইত্যাদি বাকিতে কিনে সেগুলো দিয়ে কাজ শুরু করেছি। যেগুলোর মূল্য সব মিলে এক লাখ ২২ হাজার টাকা। গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বাধ্য হয়েই এগুলো করছি।’
শাহজাদপুর ইউএনও নাজমুল হুসেইন খান জানান, ‘ইতোমধ্যেই ভাঙন কবলিত এলাকা পরির্দশন করে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণসহ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
"