খাদেমুল ইসলাম, মাদারগঞ্জ (জামালপুর)

  ১৩ মার্চ, ২০১৮

মাদারগঞ্জে টাকায় ২ কেজি বেগুন

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে শীত ও আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজির আমদানি বেড়েছে দ্বিগুণ

ভাই বেগুন লাগবে, নিয়ে যান, ভাল বেগুন টাকা লাগবে না, ও ভাই বেগুন নিয়ে যান। এমনিভাবে ক্রেতাদের আকুতি করে বলছিল জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার মিলন বাজারে বেগুন নিয়ে আসা চাষি মালেক মিয়া। শীতের শেষ সময়ে এসে বেগুনের দামে নেমেছে ধস। বাজারে চাহিদার তুলনায় বেগুন দ্বিগুণ আমদানির ফলে ক্রেতা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ন্যায্য মূল্যের বদলে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। এতে হাজার হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে শীত ও আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজির আমদানি বেড়েছে দ্বিগুন হারে। চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ার ফলে প্রতি কেজি বেগুন ৫০ পয়সা, টমেটো পাঁচ টাকা, সীম ১০টাকা, গোল আলু ১৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা ও প্রত পিছ লাউ ৫-১০ টাকা, ফুলকপি ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। অনেক চাষিরা আবার বেগুন বিক্রি করতে না পেয়ে বাজারে নর্দমায় ফেলে চলে যাচ্ছে।

মিলন বাজারে আসা বেগুন চাষি নরেশ, জাহাঙ্গীর, সালেহা ও মাইমুনার সঙ্গে কথা হয় প্রতিদিনের সংবাদের। তারা জানা, গত কয়েক মাস আগে জমি থেকে বেগুন তুলা শুরু হয়েছে। যে সব চাষিরা আগাম বেগুন চাষ করেছে, তারা মোটামুটি ভাল দাম পেয়েছে। প্রথম দিকে বেগুন ৫০-৮০ টাকা কেজি দাম পাওয়ায় চাষিদের চোখে মুখে ঝিলিক দেখা দিলেও কয়েক সপ্তাহ পর থেকে দাম কমে প্রতি কেজি ১৫-২০ টাকা বিক্রি করতে হয়েছে। আর বর্তমানে বাজারে ১-১.৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। এত কম দামে বেগুন বিক্রির ফলে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ উঠছেনা তাদের। বেগুন চাষি মালেক মিয়া প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে উন্নজাতের বেগুন চাষ করেছি, বেগুনের ফলনও ভাল হয়েছে। কিন্তু ভাল দাম পাচ্ছি না। শুধু নাই নয়, বাজারে বেগুনের চাহিদাও মোটেই নেই। চাহিদার তুলনায় বেগুন বেশি থাকায় প্রত মন বেগুন ২০-৩০টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। আমার প্রতি কেজি বেগুন উৎপাদনে খরচ পড়েছে প্রায় ৫-৬ টাকা। আর বেগুন ১-১.৫০ টাকা বিক্রিতে প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর আহমেদ জানান, এবার আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় উপজেলায় বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাহিদর তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় চাষিরা ন্যায্য দাম পাচ্ছে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist