চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় কমছে গম চাষ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত ১০ হেক্টর
এক সপ্তাহ আগের বৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গায় ব্লাস্ট ছত্রাকের আক্রান্ত হচ্ছে গম ক্ষেত। ইতোমধ্যে ১০ হেক্টর জমির গম নেক ব্লাস্ট ও হেড ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিন এ ছত্রাক আক্রান্ত ক্ষেতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষক। আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসাহিত করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলায় ৬৭০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২৯ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৮৯ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ২১২ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হচ্ছে। অধিদপ্তর আরো জানায়, এক সপ্তাহ আগে জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও দিনের বেলা গরম আর রাতে ঠান্ডা পড়ায় গম নেক ব্লাস্ট ও হেড ব্লাস্ট ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নেক ব্লাস্ট গমের কা-ে কালো আকার ধারণ করে গমের ফল পড়ে যায়। আর হেড ব্লাস্ট গমের শীষের উপরের অংশ থেকে শুকাতে শুরু করে নিচের অংশ পর্যন্ত শুকিয়ে যায়। জেলায় ১০ হেক্টর জমির গম ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে কৃষকরা বলছেন, গম চাষ করছি বাড়ির খাবারের জন্য। কারণ দেশী গমের আটায় তৈরি খাবার ভাল হয়। গমের শীষ শুকিয় যাওয়ায় গম চিটে হচ্ছে। ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এমনটি হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, গত দুই বছর গমে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জন সচেতনা গড়তে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিলিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। কৃষকদের মাঝে গম বীজ বিক্রি বন্ধ রাখতে ডিলার ও ব্যবসায়িদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত দুই বছরে জেলায় গম চাষ কয়েক গুণ হ্রাস পয়েছে। কৃষকরা মাঠে যে গম চাষ করছে তা নিজেদের উদ্যোগে।
"