জবি প্রতিনিধি
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পিছু হটল জবি কর্তৃপক্ষ
যৌন হয়রানিতে দোষী সাব্যস্ত এক শিক্ষককে তিরস্কারের শাস্তি দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিতর্কের অবসান ঘটাতে নাট্যকলা বিভাগের চেয়্যারম্যান আব্দুল হালিম প্রামাণিক স¤্রাটের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বহাল রেখে নতুন করে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান। গতকাল সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সহযোগী অধ্যাপক হালিমকে কেবল তিরস্কার ও পদোন্নতি দুই বছর বিলম্বিত করার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সকালেও মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানায় তারা।
এরপর উপাচার্য মীজানুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি তার ক্ষমতাবলে সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটির (আগে গঠিত) দেওয়া তদন্ত মোতাবেক তাকে লঘু দ-ে দ-িত করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ওই দুই নারী শিক্ষার্থীর সাথে আরও কয়েকটি যৌন হয়রানিমূলক অভিযোগ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ৭৭তম সিন্ডিকেটে নেওয়া সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১/১০ধারা অনুযায়ী উপাচার্যের নিজস্ব ক্ষমতাবলে বাতিল করা হয়।” গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কাছে নাট্যকলা বিভাগের তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম প্রামাণিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন তার বিভাগের এক ছাত্রী। পরদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের কথা জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল’ প্রথমে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় আরেকটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি করে, তাদের সুপারিশে সিন্ডিকেটে তাকে ‘লঘু দন্ড’ দেওয়া হয়। এই তদন্ত কমিটির কার্যক্রম নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের পর তারা কর্মসূচিতে নামেন।
"