গাজীপুরের টঙ্গীতে বলাৎকারের শিকার হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মো. আল-আমিন। সে টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার ৬নং ব্লকের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ মাহিন ও হৃদয়কে আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, নিহত আল-আমিন তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। পরিবারের অভাব মেটাতে কয়েক বছর ধরে একটি লোহার দোকানে কাজ করে আসছিল সে। গত বুধবার রাতে ইসলামিক আলোচনা শুনতে একই এলাকার চার বন্ধু মিলে আল-আমিনকে বাসা থেকে ডেকে ইজতেমা ময়দানের টিনশেড মসজিদে নিয়ে যায়। পরে তাকে রুটি খেতে দেয় তারা। রুটি খাওয়া এক পর্যায়ে জ্ঞান হারায় আল-আমিন। পরদিন সকালে জ্ঞান ফিরলে বাড়ি ফিরে এসে কাউকে কিছুই জানায়নি সে। যৌন নির্যাতনের কিশোর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে তাৎক্ষণিক টঙ্গী হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। শিশুটির মলদ্বারে গুরুতর জখম রয়েছে বলে চিকিৎসকরা তার অভিভাবকদের জানান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসা জন্য ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলে গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা আমেনা বেগম একই এলাকার মান্নান সর্দারের ছেলে মাহিন (১৫), ইউসুফের ছেলে হৃদয় (১২), ফজর আলীর ছেলে কায়সার (১৫) ও জয়নালের ছেলে সাইফুল (১৪) বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের পরিদর্শক মো. এমদাদুল হক ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

"