হত্যা ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ তিন নেতার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুই নেতা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল মঙ্গলবার তারা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় এ জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, হান্নান ভূঁইয়া। জামিনের বিরোধিতা করেন

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী এ মামলা করেছিলেন। ওইদিন বিচারক অপরাধ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের আইএস দিয়ে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

যাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ২৩ জুলাই বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তাকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১৫ আগস্ট আইএস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ মুজিবর রহমানের পরিবারের সদস্যদের খুন করে বোমা মেরে শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিক্ষেত্র উড়িয়ে দেওয়া হবে। পরে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হবে নতুন বাংলাদেশ।

"