নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদের কেনাকাটায় নারীরা নিউমার্কেট-গাউছিয়ায়
ঈদের আমেজে সবাই ছুটছেন মার্কেটপাড়ায়। শপিং মল থেকে ফুটপাত- কোথাও তিল জায়গা নেই। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় রাজধানীর নিউমার্কেট ও গাউছিয়ায়। হাতের কাছেই অনেক মার্কেট বা শপিং মল গড়ে উঠলেও কদর কমেনি নিউমার্কেট ও চাঁদনীচকের। জমজমাট হয়ে উঠেছে গাউছিয়া, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটও।
কেনাকাটার জন্য নিউমার্কেট ও গাউছিয়াই পছন্দের জায়গা বললেন উত্তরা থেকে আসা গৃহিণী মুবাশিরা। মিরপুর ১ নম্বর থেকে আসা ডেল্টা মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘এটাই কেনাকাটার একমাত্র জায়গা, যেখানে দর-দাম করা যায়।’
মার্কেটজুড়ে ক্রেতাদের ভিড়ে পা রাখার জায়গাটুকুও যেন পাওয়া যাচ্ছিল না গতকাল। গত শুক্রবার শুরু হয় রমজান। গতকাল গেল অষ্টম রোজা, রমজানের দ্বিতীয় শুক্রবার। এখন যেন ঈদের কেনাকাটা করার উপযুক্ত সময়। এর ওপর গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের ঢল নামে এই মার্কেটগুলোয়। কথা হয় চাঁদনীচক মার্কেটের লিবাস ফ্যাশনের ম্যানেজার ইমন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবারের রমজান শুরুর পর থেকে আজই প্রথম এত ভিড় হয়েছে। দিন যত বাড়বে বেচাকেনা তত জমজমাট হবে। বেশির ভাগ ক্রেতা এখনো কালেকশনগুলো দেখছেন, নতুন মাস এলেই চাকরিজীবীরা বেতন পাবেন। তখন মূলত বাজার জমবে। শুরু থেকেই ক্রেতাদের যে ভিড় দেখা যাচ্ছে, আশা করা যায়, এবার বিক্রি ভালো হবে।
পাশেই রফিক টেক্সটাইল হাউসের বিক্রয় কর্মী শিহাবুলও এ রকমই বললেন। রোজা শুরুর পর থেকে আজ শুক্রবারই বেশি ক্রেতা পেয়েছেন তারা।
দুই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদনীচক মার্কেট ঘুরে বিভিন্ন পোশাক দেখছিলেন ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী তাসলিমা ফারজানা। তিনি বলেন, কয়েকদিন এই মার্কেটসহ আশপাশের মার্কেটে ঘুরেছি। তবে অন্য দিনের তুলনায় আজ ভিড় বেশি। তাসলিমা বলেন, চাঁদনীচক মার্কেটে দেশীয় পোশাকের আধিক্য থাকলেও ঈদে বিদেশি পোশাক ও পণ্য সংগ্রহে রাখেন বিক্রেতারা। নারীদের দরকারি যেকোনো ধরনের জিনিস এখানে পাওয়া যায়। নানা আঙ্গিকের পোশাক, বিদেশি কাপড়, রেডিমেড অলংকার, থান কাপড়, বিভিন্ন রকমের বুটিকস বা হাতের কাজ করা কাপড়, চামড়ার ব্যাগ, লেইস ফিতা থেকে শুরু করে গহনাÑ সব কিছুই পাওয়া যায়। তাই এখানে ঈদের কেনাকাটায় মেয়েদের ভিড় সবচেয়ে বেশি হয়।
লিবাস ফ্যাশনের ম্যানেজার ইমন আহমেদ জানান, এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে জর্জেটের ওপর কাজ করা থ্রিপিস, বিদেশি পোশাকের মধ্যে ভারতীয় বুটিকস আইটেমের থ্রিপিস, লন, ভয়েল ও শার্টিনের থ্রিপিস। এ ছাড়া দেশীয় থ্রিপিসের কাপড়ের মধ্যে প্রিন্টের থ্রিপিস, ব্লক ও বাটিকের বিভিন্ন ডিজাইন করা থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে।
পাশেই গাউছিয়া ও নিউমার্কেটের দোকানিরা জানালেন, তাদের দোকানগুলোয় বেশি বিক্রি হচ্ছে পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন ধরনের অলংকার, গহনা, স্যান্ডেল ও ব্যাগ, সেই সঙ্গে প্রসাধনীও।
"