রাজু আহাম্মেদ, কুড়িগ্রাম জেলা

  ২২ নভেম্বর, ২০২২

কুড়িগ্রামে খেজুর গুড় বিক্রির ধুম

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নে ভেজালমুক্ত খেজুরের রস ও গুড় তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। কাক ডাকা ভোর থেকে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছে খেজুরের রস কিনতে।

বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের দ্বিতীয় পুত্র সফল কৃষক তৌফিক আহমেদ শাহীন (৪৮) বাবার হাত ধরে তাদের পারিবারিক যাতায়াতের সড়কের দুই ধারে গড়ে তুলেছেন দেড় শতাধিক খেজুর গাছ।

গাছগুলো থেকে প্রতিদিন ১০০ লিটার রস সংগ্রহ করছেন গাছিরা। সেখান থেকে ২০ কেজি গুড় উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। মাস শেষে ১৫ মণ গুড় বিক্রি করা যায় বলে জানান গাছিরা। রস সংগ্রহে নিয়োজিত রাজশাহী বাঘা উপজেলার থেকে আসা আলম মিয়া ও আকরাম হোসেন বলেন, 'প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে রস সংগ্রহ করি কিছু রস বিক্রি হয়ে যায় বাকি রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করি। পাঠালি ও লালি গুড়ের চাহিদা ব্যাপক। তারা বলেন, ‘বর্তমানে খাঁটি গুড় পাওয়া মুশকিল। আমরা রস সংগ্রহ করে এখানেই গুড় তৈরি করছি। এখানে কোন প্রকার কেমিক্যাল মেশানো হয় না তাই এ গুড় কিছুটা নরম। উৎপাদিত গুড় বিক্রিতে কোন ঝামেলা নেই।’

ক্রেতারা এসে নগদ টাকা দিয়ে কিনে নেয় রস ও গুড়। তারা বলেন, ‘বর্তমানে জ্বালানির দাম বেশি হওয়ায় তেমন লাভের মুখ দেখি না। গতবছর ৫০ হাজার টাকার ঝুট কিনে এনেছি এবছর তা ৮০ হাজার টাকা দাম উঠেছে। খেজুর গাছের মালিক তৌফিক আহমেদ শাহীন ভাইয়ের বিশাল সুপারি বাগান থাকায় সেই সুপারি বাগান থেকে পাতা সংগ্রহ করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছি। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে রসকে জ্বাল দিতে হয় বলে জ্বালানি খরচ বেশি। গুড়ের কেজি যদি ৩০০ টাকা হতো তাহলে একটু লাভ পাওয়া যেত। প্রতি বছরে তিন মাস এ কাজ চলে। এখন শীত কম শীত বেশি হলে বেশি রস সংগ্রহ করা যায়।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুড়িগ্রাম,বেলগাছা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close