চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৩ জানুয়ারি, ২০২২

খাঁকি ক্যাম্বেলে বদলে গেছে সুমনের জীবন

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রবাস ফেরত সুমন মিয়ার (২৮) দিন বদলেছে হাঁসের খামার করে। অভাবের সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। তবে প্রাণীসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা পেলে আরো বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, প্রবাসফেরত সুমন মিয়া রমনা ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার এমদাদুল হকের ছেলে। সংসারের দৈন্যতা ফেরাতে ২০১৫ সালে তিনি দুবাই চলে যান। সেখানে ৪ বছর অবস্থান করেও ভাগ্যের চাকা সচল করতে না পেরে ২০১৯ সালে দেশে ফেরত আসেন। এরপর নিজ উদ্যোগে ৪’শ খাকি ক্যাম্বেল হাঁস দিয়ে শুরু করেন খামার, কিন্তু হাঁস পালনে পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকায় খামার শুরুর প্রথম মাসেই হোঁচট খান তিনি। খামারের ৪’শ হাঁসের মধ্যেই ৩’শ হাঁস মারা যায়। করোনার এমন দুর্যোগের সময়েও একেবারে ভেঙে না পড়ে ফের ঘুরে দাঁড়াতে উঠে পড়ে লাগেন। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার খামারে আছে ২৫০ টি খাকি ক্যাম্বেল জাতের হাঁস। হাঁসের খামার থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড় শতাধিক ডিম সংগ্রহ করেন। ১২’শ টাকা দরে ১’শ ডিম বিক্রি করে তিনি প্রতিমাসে গড়ে আয় করেন খরচ বাদে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

খামারি সুমন মিয়া বলেন, তার স্বপ্ন আগামীতে খামারটি বড় পরিসরে শুরু করার। হাঁসের খামারের সঙ্গে মুরগি খামারও করার পরিকল্পনা করছেন তিনি। সুমন মিয়া আরো জানান, স্থানীয় প্রাণি সম্পদ বিভাগের সহযোগিতা পেলে খামারের ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব। তিনি ক্ষুদ্র খামারিদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রাণি সম্পদ বিভাগকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, এ ধরনের ক্ষুদ্র খামারিদের সহযোগিতা করে আসছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। খামারের উন্নয়নে ওই খামারিকে পরামর্শ দেয়াসহ সরকারি যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুড়িগ্রাম,চিলমারী,খাঁকি ক্যাম্বেল,খামার,সুমন,স্বাবলম্বী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close