সিলেট প্রতিনিধি
অপেক্ষা শেষ হলো বাদাম বিক্রেতা ইদ্রিস মিয়ার
সিলেট নগরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে বাদাম বিক্রি করেই সংসার চলত ইদ্রিস মিয়ার। মহামারি করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় তার আয়ের পথও বন্ধ হয়ে যায়। টানাপড়েনের সংসারে দেখা দেয় সংকট। সংকট কাটিয়ে উঠতে অপেক্ষা ছিল কবে খুলছে স্কুল-কলেজ। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে এই বাদাম বিক্রেতার। বাদাম বিক্রির জন্য ইদ্রিস মিয়াও বেরিয়ে পড়েছেন স্কুল-কলেজের সামনে।
প্রায় ১২ বছর ধরে সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের গেটের সামনে বাদাম বিক্রি করতেন ইদ্রিস মিয়া। আম্বরখানা বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, মুহিবুর একাডেমি এবং আবদুল গফুর স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ পাশাপাশি কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর কাছে তিনি খুব পরিচিত মুখ। ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তাকে দাদু বলে ডাকে।
গতকাল রবিবার নগরের জালালাবাদ এলাকার আবদুল গফুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে কথা হয় ইদ্রিস মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, বাদাম বিক্রি করেই চলে আমার সংসার। করোনায় স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেড় বছর ধরে এই ব্যবসা প্রায় বন্ধ ছিল। অভাবের তাড়নায় মাঝেমধ্যে রাস্তায় বাদাম নিয়ে ঘুরেছি। কিন্তু বিক্রি হতো না বললেই চলে। দেড় বছর ধরে অপেক্ষা করছিলাম কবে খুলবে স্কুল। ছাত্রছাত্রী ছাড়া আমার এই ব্যবসা অচল।
তিনি বলেন, বন্ধের আগে বিভিন্ন স্কুলের সামনে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার বিক্রি করতাম। এখন স্কুল খুলেছে। আশা করছি, আবার আগের মতো আমার আয় হবে।
পিডিএসও/হেলাল