নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ জুন, ২০২১

‘অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী’

আগামী অর্থবছরে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, চ্যালেঞ্জ অনেক চ্যালেঞ্জ নেই তা বলব না। আমরা চ্যালেঞ্জগুলো সব সময় সুযোগ হিসেবে চিন্তা করি। বছর শেষে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিবিধি অনেক ঊর্ধ্বমুখী।

গতকাল অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি ১৮তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও ২২তম সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আগামী অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জানতে আপনাদের আরো কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। আমরা অর্থ বিল সংসদে পাস করব ২৯ জুন, সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

নতুন অর্থবছরে সামষ্টিক অর্থনীতিতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখছেন এবং সামনের অর্থবছরে পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ অনেক চ্যালেঞ্জ নেই তা বলব না। আমরা চ্যালেঞ্জগুলো সবসময় সুযোগ হিসেবে চিন্তা করি। কারণ ইতিহাস থেকে আমরা দেখেছি অর্থনৈতিক দিক থেকে যখনই কোনো চ্যালেঞ্জ আসে তখন সুযোগও বাড়ে। আমরা মনে করি আমাদের অপরচুনিটিও বাড়বে। এর মাঝে আমাদের এ বছর শেষ দিকে চলে এসেছে। বছর শেষে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিবিধি অনেক ঊর্ধ্বমুখী। অনেকেই ধারণা করেছিলেন আমরা অর্জন করতে পারব না, আমরা সেটি পেরেছি। প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আমরা এটি করতে পেরেছি। আমাদের রেভিনিউ অর্জন ছিল প্রধান সমস্যা। রেভিনিউ অর্জন এখন আমাদের ১৭ শতাংশ গ্রোথ। এক্সপোর্টেও ১৪ শতাংশ গ্রোথ আছে। রিজার্ভের পরিমাণও ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই করছে এ মাসেই ৪৬ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে। রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার, গত বছর ১৮ বিলিয়ন ডলার ছিল।

করোনাভাইরাসের টিকা না দিলে ভারত টাকা ফেরত দেবে বলে কিছুদিন আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সত্যিই টাকা ফেরত দেবে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানে। তারা এটা দেখভাল করছে।

বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) প্রণোদনার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বাড়তি সময় চাচ্ছে। সময় কি দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো আবেদন আসেনি। এলে দেখব কী করা যায়।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির প্রতিবেদন প্রকাশ না করা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় গেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মামলা চলমান। এ পর্যায়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

বাজেট ঘাটতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ১৮, ভারতের ১৩, জাপানের ১২ দশমিক ৯, চীনের ১১ দশমিক ৮৮, ইন্দোনেশিয়ার ৮ ও ভিয়েতনামের ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ভিয়েতনাম বাংলাদেশের প্রায় সমান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close