তাজুল ইসলাম, মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ)

  ১৬ মার্চ, ২০২৪

সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ

মুক্তাগাছায় চালে লক্ষ্য পূরণ হলেও ধান সংগ্রহ শূন্য

সিদ্ধ চাল লক্ষ্যমাত্রার ৪০ টন বেশি ও আতপ চাল ২৫ টন কম সংগ্রহ * ধানে ৬৯০ টন লক্ষ্যমাত্রার এক কেজিও সংগ্রহ হয়নি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আমন সংগ্রহে সিদ্ধ ও আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। তবে এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি তারা। কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার নির্ধারতি দামের চেয়ে বাজার দর বেশি হওয়ায় ধান সংগ্রহ করতে পারেনি তারা।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে সারা দেশের মতো মুক্তাগাছায় সরকারিভাবে আমন ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এ অভিযান শেষ হয়। এতে প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা, প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং প্রতি কেজি আতপ চাল ৪৩ টাকা নির্ধার করে সরকার।

মুক্তাগাছা উপজেলায় সরকারিভাবে ৬৯০ মেট্রিক টন ধান, ৩ হাজার ৭০৭ টন সিদ্ধ চাল ও ১৮৯ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৪৭ মেট্রিক টান সিদ্ধ চাল ও ১৬৪ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করলেও ধান সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য কার্যালয়।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গুদামে ধান ক্রয়ের সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বর্তমানে বাজারে ধানের দাম বেশি। তাছাড়া গুদামে ধান বিক্রি এক ধরনের ঝামেলা। সরকারিভাবে ধান বিক্রি করতে গেলে ধানের আদ্রতা কম বেশি হলে তারা ধান নেয় না। আবার প্রতি মণে ২ কেজি ধান বেশি দিতে হয়। এই জন্য তাদের অনেকে ধান গুদামের চেয়ে বাইরে বিক্রি করতে পছন্দ করেন।

জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসি- এলএসডি) সাইফুল ইসলাম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘আমরা সরকারের লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ৩ হাজার ৭৪৭ মেট্রিক টান সিদ্ধ চাল ও ১৬৪ মেট্রিক টন আতপ চাল কিনেছি। কিন্তু ধানের দাম সরকার নির্ধারতি দামের চেয়ে বাইরে বেশি হওয়ায় ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।’

জানতে চাইলে মুক্তাগাছা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবি বলেন, বর্তমান বাজারে ধানের দাম সরকারি দামের চেয়ে বেশি হওয়ায় আমরা ধান সংগ্রহ করতে পারিনি। তাছাড়া গুদামের ধানের আদ্রতা ১৪ শতাংশের কম থাকতে হয়। কৃষকদের বেশির ভাগ ধানের আদ্রতা ১৬ শতাংশের বেশি। তবে আমরা সরকারের লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি চাল সংগ্র করতে পেরেছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close