নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ জুন, ২০১৯

জলবায়ু পরিবর্তন খাতে ১ হাজার কোটি টাকা বাজেটের দাবি

আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত খাতে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ এবং অর্থের ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কৌশলগত দিক-নির্দেশনার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা ও অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের বহুমুখী এবং যুগোপযোগী উদ্যোগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) গঠন ও ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে জাতীয় বাজেট থেকে বাংলাদেশ সরকার এই তহবিলে অর্থ বরাদ্দ করে আসছে, যা ‘প্যারিস চুক্তি’ স্বাক্ষরকারী উন্নত দেশগুলো হতে বাংলাদেশের তহবিল প্রাপ্তির যৌক্তিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিসিসিটিএফ গঠনের পর এই তহবিলে প্রথম তিন বছরে প্রতি বছর ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষয়-ক্ষতির ঝুঁকির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পায়নি, বরং ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে।

অন্যদিকে সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ উন্নত দেশগুলো কর্তৃক গঠিত অন্যান্য আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতাও এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক নয়। ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চাহিদার বিপরীতে অর্থের জোগান কমে যাওয়ার এই চিত্র উদ্বেগজনক। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের (বিসিসিটিএফ) তহবিলের ঘাটতি পূরণে আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের জোর দাবি জানাচ্ছি।

ড. জামান বলেন, একই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু খাতে অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close