জাবি প্রতিনিধি

  ০১ মে, ২০১৮

কোটা আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হল ছাড়া

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় এক সাধারণ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। এ সময় মারধরকারীর সঙ্গে থাকা এক ছাত্রলীগ কর্মী ভুক্তভোগীর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। গত রোববার সন্ধ্যায় শহীদ রফিক-জব্বার হলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত অভিষেক মন্ডল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবসিক শিক্ষার্থী। অপরদিকে মারধরের শিকার জিয়াউল হক নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও একই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় জিয়াউল হক হলের দোকানে নাশতা করতে গেলে এক পর্যায়ে অভিষেক মন্ডলের সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় তিনি জিয়াকে ‘এখনো হলে আছিস কেন, তুই হলে কী করিস’ বলে মারধর শুরু করেন। মারধরের এক পর্যায়ে অভিষেকের সঙ্গে থাকা যোবায়ের (সরকার ও রাজনীতি, ৪৫ ব্যাচ) জিয়ার কাছ থেকে ফোন ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া মারধর শেষে অভিষেক জিয়াকে তাৎক্ষণিকভাবে হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে জিয়া ফোন ফেরত চাইলে ফোন ফেরত না দিয়ে তাকে হল ছেড়ে দিতে বলে। পরে এক সিনিয়র শিক্ষার্থীকে দিয়ে ফোন ফেরত আনতে পাঠালেও ফোন ফেরত দেয়নি অভিযুক্তরা। ওইদিন রাতেই জিয়া হল ছেড়ে দেয়।

জিয়াউল হক বলেন, ‘আমি ৯ এপ্রিল অন্যদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেই। গত রোববার সন্ধ্যার দিকে ওই ছাত্রলীগ নেতা আমাকে মারধর করেন। আমার সঙ্গে থাকা ফোনটিও ছিনিয়ে নেন।’ এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অভিষেক মন্ডল ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, ‘তাকে চড় থাপ্পড় দিয়েছি। বলেছি হলে থাকার দরকার নেই। সে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। আর তার মোবাইল ফোন নেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা, ‘আমি এখনো এ বিষয়টি সম্পর্কে জানি না।’ এ বিষয়ে প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীকে ডেকেছি। আগে ঘটনা জানি তারপর ব্যবস্থা নেব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist