reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৮ জুন, ২০২২

ফলের সালাদ

ষড়ঋতুর এই দেশে ঋতুভেদে দেখা যায় রংবেরঙের ফল। এগুলোর স্বাদও ভিন্ন ভিন্ন। খাওয়ার ধরন-ধারণের কথাও যদি বলি, তাতেও রয়েছে ভিন্নতা। এমন কয়েকটি ফলের সালাদ তৈরির রেসিপি নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন। তৈরি করেছেন রন্ধনশিল্পী তানজিন তিপিয়া

পেঁপেসালাদ

উপকরণ : পেঁপে ছোট করে কাটা ১ বাটি, শসা ছোট করে কাটা ১ বাটি, পেঁয়াজ কাটা ছোট ১টি, ধনেপাতা কুঁচি ১ মুঠো, লবণ ২ চিমটি, লেবুর রস অর্ধেক, চিনি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ১টি।

প্রস্তুত প্রণালি : সব উপকরণ একত্রে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। তার ওপরে সন্দেশ ভেঙে ছড়িয়ে দিন। এবার আপনার স্বাস্থ্যকর পেঁপেসালাদ তৈরি।

বি. দ্র. কোলেস্টেরল কম, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা আর্টেরিকে কোলেস্টেরল মুক্ত রাখে, ওজন কমায়, ডায়াবেটিস ও চোখের জন্য উত্তম, হজম ক্রিয়া ও পরিপাকে সহায়ক, বাতরোগ এবং মাসিক ব্যথা রোধ করে।

আনালাদ

উপকরণ : আনারস কুঁচি বড় একটির অর্থেক, পুঁদিনাপাতা কুঁচি ১ মুঠো, লেবুর রস অর্ধেক, চিনি আধা চা চামচ, শুকনো লালা মরিচ ২টি ভেঙে গুঁড়ো করে দেওয়া, কালি জিরা ৩ চিমটি, জিরে গুঁড়ো ৩ চিমটে, লবণ ২ চিমটে।

প্রস্তুত প্রণালি : শেষে সব উপকরণ একত্রে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলেই আনারসের সালাদ তৈরি।

বি. দ্র. আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, ডাইটারি ফাইবারের কারণে দেহের ক্ষুদ্রান্ত সুস্থ রেখে পরিপাকে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেনট চোখের জন্য উত্তম উপাদান, যা হাড় শক্ত করে। এছ াড়া ব্রমেলাইন নামক পদার্থের কারণে রক্তের ঘনীভূত দ্রব্যাদি পরিষ্কার করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

আঙুলাদ

উপকরণ : আঙুর ফালি করে কাটা ১৫টি, অ্যাপেল কুঁচি ১টি, ধনেপাতা কুঁচি ১ মুঠো, লেবুর রস অর্ধেক, চিনি আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ১টি। বাদাম যেকোনো এক পদের ১ মুঠো।

প্রস্তুত প্রণালি : সব উপকরণ একত্রে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলেই আপনার আঙুলাদ একদম তৈরি।

বি. দ্র. আঙুরের রস ওজন কমাতে সহায়ক। ডায়াবেটিস রোগীরা খাবেন বিকাল ৫টার আগে ৫-৬টি।

আমালাদ

উপকরণ : আম লম্বা করে কাটা ১টি, পুঁদিনাপাতা কুঁচি ১ মুঠো, লেবুর রস অর্ধেক, চিনি আধা চা চামচ, লবণ ২ চিমটে, মধু ১ চা চামচ, শুকনো লাল মরিচ ২টি হাতে ভেঙে দেওয়া, কালি জিরা ৩ চিমটি, জিরে গুঁড়ো ৩ চিমটে।

প্রস্তুত প্রণালি : সব উপকরণ একত্রে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলেই টক-মিষ্টি স্বাদের আম সালাদ একদম তৈরি।

বি. দ্র. ভিটামিন এ, সি, লুটিন ও জিয়াক্সথিন যা চুল, ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে। হজমি এনজাইম, পানি ও ডায়েটারি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গিফেরিন হৃৎপি- সুস্থ রাখে। পলিফেনল থাকায় এটি ক্যানসারপ্রতিরোধী। আয়রনের উপস্থিতির কারণে রক্ত স্বল্পতায়ভুক্ত রোগীদের এবং গর্ভবতী মায়েদেরও আম খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগীরা খাবেন বিকাল ৫টার আগে একটি, তবে জুস বানিয়ে নয়। অবশ্যই সুগার লেভেল মেপে, যদি সুগার বেশি বেড়ে যায়, তাহলে এক দিন বাদ দিয়ে পরদিন খাবেন। মোটকথা সমতা রাখবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close