মেহেরপুর প্রতিনিধি
কোল্ড স্টোরেই পচে গেছে ৩০ হাজার বস্তা আলু
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দির জামান কোল্ড স্টোরে সহস্রাধিক কৃষকের সংরক্ষণ করা ৩০ হাজার বস্তা বীজ আলু পচে গেছে। ২০০৫ সালে স্থাপিত এই কোল্ড স্টোরে এর আগেও তিনবার সংরক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ না করায় আলু পচে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এবারের ঘটনার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন কোল্ডস্টোর মালিক। জমি তৈরির পর কোল্ড স্টোর থেকে বীজ আলু পচে যাওয়া দেখে আলুচাষীরা বিষন্নতায় ভুগতে শুরু করেছে। আলুর পচনে মৌসুমী আলু চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন আলুচাষীরা।
গত মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কোল্ড স্টোরের সামনে চাষীদের ভিড়। যেসব চাষী বীজ আলুর বস্তা বের করে দেখতে পাচ্ছেন ৯৫ ভাগ আলুতে চারা গজিয়ে পচন শুরু হয়েছে।
গাংনীর দেবীপুর গ্রামের আলু ব্যবসায়ী ওসমান গনি জানান, তিনি ৪০০ মণ আলু সংরক্ষণ করেছিলেন। সব আলু পচে গেছে। কোল্ড স্টোরের মালিককে পাওয়া যাচ্ছে না। গাংনীর ভোমরদহ গ্রামের দেলওয়ার হোসেন বলেন, ৩০ বস্তায় ৬০ মণ আলু সংরক্ষণ করি। জমি তৈরীর পর কোল্ড স্টোরে রাখা আলু পচে যাওয়ায় তাকে আলু দেয়া হচ্ছে না। এখন অতিরিক্ত দামে বীজ কিনে রোপণ করবেন বলে জানান। গাংনীর কাজিপুর গ্রামের রফিকুল আলম জানান, তিনি ৯০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেন। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত আলু সংরক্ষণের কারণেই আলু পচে গেছে। তিনি ক্ষতিপূরণের মামলা করবেন বলেও জানান।
কোল্ড স্টোরের কেয়ার টেকার হাসিবুল হক জানান, বিদ্যুৎ সমস্যা ও সংরক্ষণ ত্রুটির কারণেই আলু পচে গেছে। এক লাখ টন ধারণক্ষমতার এই কোল্ড স্টোরে ৩০ হাজার বস্তায় ৬০ হাজার মণ আলু সংরক্ষিত ছিল। যার সিংহভাগ আলুতে চারা গজিয়েছে এবং পচে গেছে। ক্ষুব্ধ কৃষকদের ভয়ে মালিক জামান হোসেন ঢাকায় পলাতক বলে স্বীকার করেন এই কেয়ার টেকার।
"