আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট)

  ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

বাগেরহাট

লম্বা ছুটিতে সুন্দরবনে বাড়ছে পর্যটক

বাগেরহাটে ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ এ দুই উৎসবে টানা ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে সুন্দরবনের করমজলসহ অন্যান্য পর্যটক স্পটে। আনন্দ উল্লাসে এবারে ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করেছেন ছোট বড় সবাই। আনন্দে মেতেছেন নারী-পুরুষসহ সব বয়সের মানুষ। একসঙ্গে দুই উৎসবে পর্যটকদের আগমন বেশি হওয়ায় রাজস্ব আদায় হবে দ্বিগুণ বলে জানান বনবিভাগ।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ, একসঙ্গে দুটি উৎসবের ছুটি পেয়ে মনের আনন্দে মাতোয়ারা সব বয়সী মানুষ। টানা ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল সুন্দরবনের করমজলে। ঈদের দিন লোকজন কিছুটা কম থাকলেও পরদিন সকাল থেকেই সুন্দরবনের পর্যটন স্পট করমজলে ঢল নামতে শুরু করে পর্যটকদের।

বাগেরহাটের মোংলায় থেকে সবচেয়ে কাছাকাছি ও আকর্ষণীয় হওয়ায় পর্যটন কেন্দ্র করমজলেই ভিড় সবচেয়ে বেশি পর্যটকদের। এছাড়া, বনের হাড়বাড়ীয়া, কটকা, কচিখালী ও আন্ধারমানিকসহ অন্যান্য স্পটে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। এই ছুটিতে বড় বড় বিলাসবহুল লঞ্চে সুন্দরবন ভ্রমণ করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নানা বয়সের মানুষরা।

সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলেন, এর আগে কখনও সুন্দরবনে আসা হয়নি, এবারই প্রথম তাদের আসা। না এলে বোঝাই যেত না সুন্দরবন কত সুন্দর। খুব ভালো লেগেছে। বন্ধু-বান্ধব মিলে অনেক আনন্দ করলাম।

সুন্দবনে এসে হরিণ, কুমির, বানর, কচ্ছপ দেখলাম। সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ারের উপর থেকে ছাতার মতো বিস্তৃত বনের বিভিন্ন গাছপালা দেখে প্রাণ ভরে গেছে। কি সবুজ সজীব শীতল পরিবেশ, মনে হয় নির্মল এক অক্সিজেনের কারখানায় এসেছি।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। কিন্তু সুন্দবনের মতো এতো আনন্দ উপভোগ করতে পরিবারকে আগে কখনও দেখিনি। যত দেখছি ততোই মন জুড়াচ্ছে, ভাবছি এতোদিনে কেন আসলাম না। আমি বলবো যারা সুন্দরবনে আসেননি তারা সুন্দরের সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছেন, যেমন আগে আমরাও ছিলাম।

সুন্দরবনের যে বিশাল সম্পদ রয়েছে তার সুষ্ঠু ব্যবহার করা গেলে তাতে উপকূলের মানুষের মঙ্গল হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ঘুরতে এসে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close