ফরিদপুর প্রতিনিধি 

  ০৭ এপ্রিল, ২০২৪

বোয়ালমারী

চালকের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হয় অ্যাম্বুলেন্স, রোগীদের ভোগান্তি 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অ্যাম্বুলেন্স চালক মাসুদ আহমেদ লিটনের বাড়ি ফরিদপুর সদরের ঝিলটুলিতে। ওই চালককে কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে সতর্ক করলেও কাজ হয়নি। সার্বিক বিষয়ে তাকে দশ কর্মদিবসের মাঝে কারণ দশানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, অ্যাম্বুলেন্স চালক মাসুদ আহমেদ লিটন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২০২৩ সালের মে মাসে বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। যোগদানের পরেই তাকে সরকারি বাসভবন বুঝে দেওয়া হয়েছে। তবুও তিনি প্রতিদিন বিকাল বা সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ৪০ কিলোমিটার দূরে জেলা সদরে পরিবারের সঙ্গে রাত্রিযাপন করেন। কর্মস্থলে না থেকে সকালে খেয়াল-খুশি মতো ফিরেন তিনি। এতে সরকারি জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবা প্রত্যাশী রোগীরা। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স মালিকগণ গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে সাধারণ মানুষের থেকে।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, সরকারি ভাবে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো রোগীর স্বজনদের থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, খেয়াল খুশি মতো দায়িত্ব পালন, গমন-প্রত্যাগমন রেজিস্ট্রার খাতা লিপিবদ্ধ না করা, সেবা গ্রাহকদের ভাড়ার রিসিট না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, নিজের ব্যক্তগত কাজে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার, কর্মস্থলে বায়োমেট্রিক হাতের ছাপ রেজিষ্ট্রেশন না করা, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে বায়োমেট্রিক হাতের ছাপ দিতে অনিহা প্রকাশসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী পৌর সদরের বাসিন্দা মো. আলী রেজা বলেন, বোয়ালমারী থেকে এক মুমূর্ষু রোগী নিয়ে হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে ফরিদপুরে যাই। চালক মাসুদ আমাদের কাছে বেশি টাকা দাবি করে, পরে তাকে এক হাজার ২০০ টাকা দেই। কিন্তু সে কোনো রিসিট দেননি। পরে জানতে পারি ভাড়া মাত্র ৮০০ টাকা।

এদিকে অ্যাম্বুলেন্স চালক মাসুদ আহমেদ লিটন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ সত্য নয়। রাতে ফরিদপুর ভাড়া নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কখনও কখনও বাড়িতে থেকে যাই।

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাহিদ আল রাকিব বলেন, চালক মাসুদকে ইতোপূর্বে কয়েকটি বিষয়ে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তিনি তা আমলে নেননি। সম্প্রতি সার্বিক বিষয়ে তাকে দশ কর্মদিবসের মাঝে কারণ দশানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close