হবিগঞ্জ ও মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ২৩ মার্চ, ২০২৪

দুপক্ষের সংঘর্ষে জড়াল গ্রামবাসী পুলিশসহ আহত অর্ধশাধিক

কুমিল্লার মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে দেশীয় অস্ত্রনিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকার পাকদেওড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে হবিগঞ্জ শহরতলীর ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় কেরাম খেলার সময় সিগারেটের ধোয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৭ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় পিকআপভ্যান, মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি, দোকান ভাঙচুর ও ইট ছোড়া করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ‘মাস্টারবাড়ি’ ও ‘মোল্লাবাড়ি’র লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

মুরাদনগর প্রতিনিধি জানান, উপজেলার পাক দেওড়া গ্রামে বিলের মাছের ঘের নিয়ে মুন্সী গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে মোল্লা, ভূইয়াসহ কয়েকটি গোষ্ঠীর মধ্যে দুই যুগ ধরে বিরোধ চলছে। বিলের মাছের ঘেরের হিসাব ও নতুন করে ইজারা দেওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এক দফা সংঘর্ষ হয়।

পরে শুক্রবার সকালে দুদল গ্রামবাসী টেটা, কুচ, বল্লম, রড, ইট নিয়ে পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন কামাল, হিরন, আনিছ, কাদির, ইব্রাহীম, সাদির, পারভেজ, ইউনুছ ও রিফাতসহ অন্যরা। এদের মধ্যে তিনজনকে কুমিল্লা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আলম বলেন, সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এক পক্ষ থানায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। অপর পক্ষ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’

এদিকে হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জ নগরীর কারাগার ফটক এলাকার বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় কেরাম খেলায় বসে মাস্টার বাড়ির আলমগীর, সেলিম; মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের লোকজন। এ সময় একটি পক্ষ সিগারেট ধোয়া ছাড়ে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বাক-বিতন্ডা, পরে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দেড় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৪ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষের সময় সদর থানার এসআই আবু জাবেরসহ ৭ পুলিশ ও অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় অন্তত ১৮ জনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, ‘সংঘর্ষের খবরে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ৭ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close