জুয়েল রানা লিটন, নোয়াখালী

  ২২ মার্চ, ২০২৪

কবিরহাটে মাসব্যাপী আয়োজন

সড়কের পাশে ইফতার হাতে মেয়র লোকের সঙ্গে বাড়ে প্যাকেটও

নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভায় রমজানে অসহায় ও নিম্নআয়ের রোজাদারদের ইফতারের আমেজ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন মেয়র জহিরুল হক রায়হান। রমজানে ৬ হাজার মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবেন তিনি।

জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও প্রথম রমজান থেকে কবিরহাট পৌরসভার জিরো পয়েন্টে অসহায় ও নিম্নআয়ের মানুষ এবং পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে ইফতার বিতরণ শুরু করেন মেয়র। মাসব্যাপী চলবে এ আয়োজন। এতে ধনী-গরিব নির্বিশেষে রাস্তাঘাটে চলাচলরত রোজাদার, পরিবহন শ্রমিক-চালক ও যাত্রী বিনামূল্যে এ ইফতার পাবেন।

কবিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওর্য়াডের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলনে, ‘কয়েক বছর ধরে রমজানের ইফতার আমি এখান থেকেই নিচ্ছি। মেয়রের দেওয়া খাবারেই আমি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতার করি।’

বসুরহাট-সোনাপুর সড়কের অটোরিকশাচালক শাহ আলম বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে এ রোডে গাড়ি চালাই। আগে সময়ের অভাবে ইফতার করতে পারতাম না, অনেক সময় আমরা পানি পান করে ইফতার সারতাম। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দেখেছি, কবিরহাট জিরো পয়েন্টে মোড়ে এলে ইফতারের প্যাকেট পাই। এটা দিয়েই আমরা ইফতার করি।’

কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন আজিম জানান, ‘পৌর মেয়র ইফতারসামগ্রী বিতরণ করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তাকে দেখে সমাজের বিত্তবানরাও উৎসাহিত হবেন।’

ইফতারি পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল বলেন, ‘ইফতারের প্রতিটি প্যাকেটে খেজুর, ছোলা, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, মুড়ি, পানি রয়েছে। শুধু পরিবহন চালক-শ্রমিক নয়, আশপাশের মসজিদ, মাদরাসায় মেয়র ইফতার তুলে দেন। তার সহযোগিতায় অসহায়, হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ প্রতিদিন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বসেও ইফতার করেন।

জানতে চাইলে পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান বলিন, ‘প্রতি বছর নিজ উদ্যোগে রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজন করি। এ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফতার মাহফিল করায় নিরুৎসাহিত করেছেন। এর পরিবর্তে গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ইফতারি বিতরণের আহ্বান জানিয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনায় মাসব্যাপী এ ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে।’

মেয়র আরো বলেন, ‘প্রথম রমজানে আমরা ২০০ প্যাকেট দিয়ে ইফতারি বিতরণ শুরু করেছি। রমজান যত বাড়ছে, প্যাকেটের পরিমাণ ততই বাড়ছে। যত বেশি চাহিদা হবে, তত বেশি প্যাকেট আমরা দেব- যেন কোনো মানুষ খালি হাতে ফিরে না যায়। আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস দেখে সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে অসহায়, হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ উপকৃত হবেন। এমনটা হলে আমার ইফতার দেওয়া শতভাগ সফল হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close