লালমনিরহাট প্রতিনিধি

  ১৯ মার্চ, ২০২৪

লালমনিরহাট

সম্পত্তি খাস দেখিয়ে বালু উত্তোলন ধরলার পাড় বাঁচাতে মানববন্ধন

লালমনিরহাটে রেকর্ডভুক্ত সম্পত্তি খাস খতিয়ান দেখিয়ে বালু উত্তোলন করায় ফসলের জমির ক্ষতি সাধন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, বন্যার আশংকাসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকিতে পড়তে বসেছে ধরলা নদীর পাড় এলাকাগুলোয়। অধিক পরিমাণে ট্রাক্টর চলাচলের কারণে ধরলা নদীর রক্ষা বাঁধটিও হুমকির মুখে পড়তে বসেছে।

গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াপদা বাজারে এক মানববন্ধন করে চর শিবেরকুটি ও বনগ্রামবাসী।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কটেশনের মাধ্যমে ধরলা পাড়ের জমিগুলোয় স্তূপ আকারে জমা বালু অপসারণের নিলাম করা হয়। সেদিন বালু অপসারণ বাবদ প্রতি সিএফটি শতকরা ০ দশমিক ৭৫ টাকা দরে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৪৭ টাকা দরে সর্বনিম্ন দরদাতাকে নিলাম প্রদান করা হয়।

চর শিবেরকুটির জনসাধারণের পক্ষে কায়ইম মুন্সি, মোতালেব, আতিকুল, মজিবর প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় চর শিবেরকুটির ৫ শতাধিক জনসাধারণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নদীতে আমাদের রেকর্ডভুক্ত জমি আছে। সেখানে আমরা চরাঞ্চলের চাষিরা ভূট্টাসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে আসছি। সেই আবাদি জমি গুলোর পাশ থেকেই বালু উত্তোলন করছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান। ঐ স্থান থেকে ৩ ফিট গভীর পর্যন্ত বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও ইজারাদার প্রতিষ্ঠান সেখানে ১০ থেকে ১২ ফিট গভীর পর্যন্ত বালু উত্তোলন করছেন। গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলন করায় আমাদের ফসলি জমিগুলো এখনই সেই গর্তে ভেঙে পড়ছে। ফলে আমরা কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

বক্তারা আরো বলেন, প্রতিদিন শত শত ট্রাকে করে বালু নিয়ে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন ধরলা নদীর রক্ষা বাঁধটি বিলিন হওয়ার পথে অন্যদিকে চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাটগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে ট্রাকগুলো চলার কারণে ধুলোবালিতে আমাদের বাড়িঘর ভরে যাচ্ছে। এ কারণে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন।

খুব দ্রুত শিবেরকুটি এলাকার ধরলা পাড়ে বালু উত্তোলন বন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দেন নক্তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close