ফরিদপুর প্রতিনিধি

  ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

ফরিদপুরের সালথা

বিদ্যালয়ে নলকূপের পানি পানে অসুস্থ ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

ফরিদপুরের সালথার রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নলকূপের (টিউবওয়েল) পানি পান করে ১০ শিক্ষার্থী ও ৩ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশুসহ তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, পানি পান করে নয়, তীব্র গরমের কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের ওই বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

অসুস্থ হয়ে পড়া সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম জানান, ‘দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালিন ছুটিতে রয়েছেন। রবিবার সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারের কাজ শুরু করি। কিছু সময় কাজ করার পর তীব্র গরমে পানির তেষ্টা পেলে স্কুলের টিউবওয়েল চেপে ঠাণ্ডা পানি পান করে সবাই। এর কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা বমি করতে থাকেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।’

অসুস্থ তিন শিক্ষক হলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম, শুকলা রানী শিল, রেবেকা আক্তার। শিক্ষার্থীরা হচ্ছে নাহিদ (৯), নাইমা (৮), সাবিহা (৯), রামিসা (৮), মো. হাসান (৯), শাহিন হোসেন (৯), লামিয়া (১০), পিয়াস (১০), সুমনা আক্তার (১১), লিমন (১০)। তাদের বাড়ি রামকান্তপুর গ্রামে। এর মধ্য রামিসা (৮) নামে শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন বলেন, টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরণের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুজনের চিকিৎসা এখনো চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফায়জুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, পানিতে কোনো বিষক্রিয়ার লক্ষ্যণ পাওয়া যায়নি।’ 

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ‘এখন সবাই মােটামুটি সুস্থ আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাননি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করে দেখা হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close