ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ১৭ মার্চ, ২০২৪

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া

সীমান্তে চোরাই চিনি নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

অবৈধভাবে চিনি ব্যবসার পথ পরিষ্কার করতে পরিকল্পিত হত্যা দাবি পরিবারের * সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে সক্রিয় অন্তত ৫০ চোরা কারবারী

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় চোরাই পথে ভারতীয় চিনি এনে ব্যবসাকে কেন্দ্র করে লাইক মিয়া (২৬) নামে এক যুবক খুন হয়েছে।

উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের গোয়াতলা বাজারে শুক্রবার রাত আনুমানিক দশটায় এই ঘটনা ঘটেছে।

নিহত লাইক মিয়া পাতালগাও গ্রামের আঃ হাই এর ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, চোরাকারবারীর মাধ্যমে ভারতীয় চিনি এনে ব্যবসা করছেন গোয়াতলা এলাকার আক্তার হোসেন, মান্নান, হান্নান, রমজান, রেনুসহ কয়েকজন। কিছুদিন আগে আক্তারের চিনির গাড়ি গোয়াতলা বাজারে প্রবেশ করলে রাস্তায় গাড়ি আটকায় লাইক মিয়া ও তার লোকজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একটি চায়ের দোকান থেকে লাইক মিয়াকে ডেকে নেয় শাহজাহান নামে একজন। পরে গোয়াতলা বাসস্টেশনের পশ্চিম পাশে মসজিদ সংলগ্ন এলাকার রাস্তায় লাইক মিয়াকে মারধরের পর ছুরিকাঘাত করে ফুটকাই গ্রামের সুমন, গোবিন্দপুর গ্রামের লালচানসহ তাদের লোকজন।

ছুরিকাঘাতের পর গুরুত্বর আহত অবস্থায় লাইক মিয়াকে প্রথমে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাঝরাতে লাইক মিয়ার মৃত্যু হয়। ঘটানস্থলের পাশেই একটি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে।

নিহত লাইক মিয়ার পরিবারের দাবি, অবৈধভাবে চিনি ব্যবসার লাইন ক্লিয়ার করতেই লাইক মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। লাইকের বড় ভাই জজ মিয়া বলেন, ‘যারা গোয়াতলা বাজারে অবৈধভাবে চিনির ব্যবসা করেন, তারাই পরিকল্পিতভাবে লাইক মিয়াকে হত্যা করেছে।’

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চান মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তিনজনকে আটক করেছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

গত কয়েকমাস ধরে ধোবাউাড়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারীরা। দক্ষিন মাইজপাড়া, কলসিন্দুর, রনসিংহপুর, ঘোষগাও, মুন্সিরহাটসহ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত ৫০ জন চোরাকারবারী সক্রিয় রয়েছে। ভারতীয় চিনিসহ বিভিন্ন পন্য ভারত থেকে প্রকাশ্যে দিবালোকে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে এই চক্রটি। এনিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। কমিটির অনেক সদস্যই চোরাকারবারীদের নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান।

জানতেস চাইলে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, ‘চোরাচালানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর, ধোবাউড়া থানা এবং বিজিবিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close