উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

কুড়িগ্রামের উলিপুর

সাড়ে ৪ হাজার প্লাস্টিকের ট্রেতে প্রথম সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি প্রথম প্লাস্টিকের ট্রেতে ধান বীজ বপন করে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের মতে এই পদ্ধতিকে বলে ‘সমলয়’। এ পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদে শ্রমিক সংকট নিরসন, উৎপাদনে অতিরিক্ত খরচ ও সময় বাঁচবে। সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলা ও চারা রোপণের বিষয়টি এখন এই অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে প্রাথমিকভাবে উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মধুপুর বামনেরহাট এলাকায় প্রায় ৩৫ শতক জমিতে ৪ হাজার ৫০০ প্লাস্টিকের ট্রেতে ধানের বীজ বপন করা হয়েছে।

বিশেষ কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে বেলে মাটিতে জৈব সার সংমিশ্রণে প্লাস্টিকের ট্রেতে ধান বীজ বপন করা হয়। ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এই বীজ চারা রোপণের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে। এতে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিন দিয়ে চারা একই গভীরতায় সমানভাবে রোপণ করা যায়। ফলে ফলনও বাড়ে। একসঙ্গে চারা রোপণ করায় ধান একসঙ্গে পাকবে এবং একসঙ্গে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। প্রচলিত পদ্ধতিতে চারা রোপণের পর ফসল ঘরে তুলতে ১৪৫ থেকে ১৬০ দিন সময় লাগলেও সমলয় পদ্ধতিতে এর থেকে সময় কম লাগবে।

একই এলাকার কৃষক চন্দন সরকার ও অমরেন্দ্র নাথ জানান, তারা সমলয় পদ্ধতিতে বীজ বপন করেছেন। খরচ নেই বললেই চলে। সারের ব্যবহার করা হয়নি। এত শীতের মধ্যেও বীজতলার কোনো ক্ষতি হয়নি। এবার এ পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে আশা তাদের।

ধরণীবাড়ী ইউনিয়ন ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, ৯০ জন কৃষক ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদের জন্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এতে শ্রমিক লাগবে না সব যন্ত্রের মাধ্যমে হবে। এছাড়া দ্রুত উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারবেন তারা। সমলয় পদ্ধতি চাষাবাদে কৃষকরা লাভজনক হবে বলেও আশা তার।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে এসব চারা রোপণ করা হবে। সমলয় পদ্ধতিতে কাটা-মাড়াই হবে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে। এতে করে শ্রমিক সংকট নিরসন হবে। সেই সঙ্গে কম সময়ের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারবে। সমলয় পদ্ধতির ফলে খেতে রোগবালাই কম হবে বলেও জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close