বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

সরিষায় স্বপ্ন দেখছেন শার্শার চাষিরা

চলতি মৌসুমে যশোরের শার্শা উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে অধিক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন এ উপজেলার কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবারও সরিষা চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষা চাষিরা অধিক মুনাফা লাভ করবেন বলে মনে করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শার্শার ১১টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা গতবারের চেয়ে ২০০ হেক্টর বেশি। কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-৯, বিনা-৯/১০, সরিষা-১৫, সোনালি সরিষা (এসএস-৭৫) ও স্থানীয় টরি-৭ আবাদ করেছেন।

উপজেলার শ্যামলাগাছি গ্রামের সরিষা চাষি নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর দুই বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও বিনা-৯/১০ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। বিঘা প্রতি প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি, বাম্পার ফলন হবে।

একই গ্রামের কৃষক আফজাল শেখ জানান, গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারো সরিষা চাষ করেছি। ভালো ফলন ও দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরো অনেকেই ঝুঁকে পড়বে বলে জানান তিনি।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৌতম কুমার শীল জানান, কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বারি-১৪সহ অন্যান্য জাতের সরিষা বপনের মাত্র ৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। সরিষা উত্তোলন করে ফের বোরো আবাদ করতে পারেন বলে এটাকে কৃষকরা ‘লাভের ফসল’ হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

তিনি আরো জানান, বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈবসারের কাজ করায় জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর ওই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে। তাই এ জাতের সরিষা চাষের জন্য আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করি। চলতি বছরের এ পর্যন্ত উপজেলার ৯০০ জন কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা প্রদান করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close