সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

উল্লাপাড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে বালুর স্তূপ, চলাচলে বিঘ্ন

প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মাঠ ভাড়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। তবে সভাপতির দাবি মাঠটি সংস্কার করা হচ্ছে

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পাশাপাশি অবস্থানের আলাদা দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে মাঠজুড়ে বালু রেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি ব্যবসায় করছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে তথ্যের লুকোচুরি আর দায় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাঠটি ভাড়া দিয়েছেন বলে জানান শিক্ষকরা। তবে তিনি পুরো মাঠ ভাড়া দেওয়ার বিষয় অস্বীকার করেছেন।

প্রতিষ্ঠান দুটির একটি হলো চরমোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার সহজ পথ বন্ধ হয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার সমস্যা বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

অপরটি হলো চরমোহনপুর দাখিল মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আবদুর রশিদ মাঠটিতে বালু রেখে ব্যবসায় একজনকে বলে ভাড়া দিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এলাকার মো. হারুন অর রশিদ ও আবদুল হাকিম নামের দুজন মাঠটি ভাড়া নিয়ে বালু রেখে ব্যবসা করছেন। তারা ট্রলারে বালু এনে মাঠে জমিয়ে রেখে ব্যবসায় করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একেবারে পাশাপাশি অবস্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির সামনে বিশাল মাঠের পুরোটায় বালু রাখা হয়েছে। মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত নন এমপিওভুক্ত মাদ্রাসাটি সম্পত্তির পরিমাণ ১৪৭ শতক। বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯৬ জন মোট ১৬ জন শিক্ষক আছেন। মাঠের বেশি পরিমাণ সম্পত্তি মাদ্রাসার এবং মাঠের পাশেই ঈদগাহ মাঠ আছে। মাঠটিতে বালু রাখায় পার্শ্ববর্তী শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসাটির বারান্দা হয়ে এবং বালু মাড়িয়ে আসা-যাওয়া করেন। মাদ্রাসার সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাঠটি ভাড়া দিয়েছেন। মাঠ ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার হিসেবে তার কোনো মতামত নেওয়া হয়নি বলে জানান। সভাপতি মো. রশিদ বলেন, মাঠটি ভাড়া দেওয়া হয়নি। উন্নয়নের স্বার্থে বালু ফেলা হয়েছে। চরমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোছা. শিরিন সুলতানা মেরি জানান মাঠের কিছু অংশ তার প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। বালু ফেলায় শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তিনি শুনেছেন মাঠটি বালু ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। মো. হারুন অর রশিদ জানান, তিনি মাদ্রাসার কিংবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভাড়া নেননি। পার্শ¦বর্তী ঈদগাহ মাঠটি ভাড়া নিয়ে বালু রেখে ব্যবসায় করছেন। কোনো টাকার বিনিময়ে নয় মাঠটি সংস্কার করে দেওয়ার শর্তে তাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে জানান।

এ বিসয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান জানান বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close