ক্লাশে হাতের লেখা না আনায় এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় ও ঘুষি মেরে কানের পর্দা ফাটানো ও একই অভিযোগে আরও পাঁচ ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত এল,এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়লে অফিস সহকারী মোরশেদ আলমকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি জরুরি বৈঠক করে বহিস্কারের এ সিদ্ধান্ত নেন। কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান জানান, প্রথামিক তদন্তে ছাত্রদের মারপিটের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটি জরুরি বৈঠক করে মোরশেদ আলমকে সাময়িক বহিস্কার করেছেন। এ সময় পুরো ঘটনাটি ভালো করে তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তবে এর একদিন আগে তাঁকে শোকজ করা হয়। এদিকে গতকাল সোমবার দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদে ‘ঘুষি মেরে ছাত্রের কানের পর্দা ফাটাল অফিস সহকারী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক বহিস্কার করে। প্রসঙ্গত, রায়পুরে এল,এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহাকারী মোরশেদ আলম গত বুধবার অষ্টম শ্রেণির ক্লাশ নিতে গিয়ে হাতের লেখা না আনায় এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় ও ঘুষি মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেন। এ সময় একই অভিযোগে আরও পাঁচ ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেন তিনি। এ ঘটনায় গত শনিবার থানায় ও ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগে দিয়েছেন ওই ছাত্রের অভিভাবক জাহাঙ্গীর হোসেন।

"