কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
কালকিনিতে অপরিকল্পিত মুরগির ফার্মে পরিবেশদূষণ
কালকিনিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা শত শত মুরগি ফার্ম পরিবেশদূষণে মারাত্মক ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ লোকালয়ে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে গড়ে ওঠা ওইসব মুরগি ফার্মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করার পরও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
কালকিনি পৌরসভাসহ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের তিন শতাধিক মুরগি ফার্মের মধ্যে বেশ কয়েকটি ফার্ম ঘুরে দেখা গেছে, এলাকার প্রভাবশালী অসাধু ব্যক্তিরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় লোকালয়ে গড়ে তুলেছেন ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির ফার্ম। মুরগির ফার্মগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছেন না। অনেকেই পুকুরের মধ্যে ঘর করে মুরগি ও নিচে মাছ চাষ করছেন। মাছের খাদ্য হিসেবে পুকুরে দেওয়া হচ্ছে মুরগির বিষ্টা ও বিভিন্ন মরা প্রাণী। এতে পুকুরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও ময়লা ফেলার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ফার্মের ধারে খোলা স্থানে ফেলে রাখা হচ্ছে মুরগির বিষ্টা। এতে করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা নাকে রুমাল দিয়ে পথ চলাচল করছেন। এ বিষয়ে কাজিবাকাই ইউনিয়নের বাসিন্দা কাবিল মিয়া জানান, পূর্ব মাইজপাড়া মল্লিক বারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে দীর্ঘদিন ধরে মুরগির ফার্ম চালু আছে। ফার্মের দুর্গন্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে অবস্থান করার মতো পরিস্থিতি নেই। বিষ্টার গন্ধে শিক্ষার্থীরা অনেকেই বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাও ঘটছে।
উত্তর ভাউতলি গ্রামের আ. সালাম সরদার বলেন, গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে গড়া উঠা মুরগির ফার্মের দুর্গন্ধে গ্রামে টেকায় দায় হয়ে পড়েছে। আমরা বাধ্য হয়ে মুরগির ফার্ম বন্ধের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) অফিসে লিখিত অভিযোগ দাখিল করব।
মুরগি ফার্মের মালিক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ফার্মের জন্য স্থানীয়দের সমস্যা সামান্য সমস্যা হচ্ছে। অতি তাড়াতাড়ি সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নিব।
অন্যদিকে, পূর্ব মাইজ পাড়া সড়কের কাছে অহিদুল ইসলাম হাওলাদার, লিটন ফকির, সেলিম চৌধুরী, আনোয়ার মাতুব্বর, আ. হাই মিয়াসহ আরো কয়েকজন বেশ কয়েকটি মুরগির ফার্ম গড়ে তুলেছেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতরের কোনো অনুমতি নেননি তারা।
এ ব্যাপারে কালকিনি প্রাণিসম্পদ কর্মর্কতা নিরোধ বরণ জয়ধর বলেন, তাদের আমরা অনেক বলেছি পরিষ্কার পরিচ্ছনভাবে র্ফাম পরিচালনা করতে।
"