কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
কাশিয়ানীতে টাকা নিয়ে খাতায় স্বাক্ষর!
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর করতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রাজপাট ডিগ্রি কলেজের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজপাট ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, কৃষিশিক্ষা বিষয়ে ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর করতে ৩০০ থেকে ১ হাজার ৩৪০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকরা। শিক্ষকদের দাবি করা টাকা না দিলে ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর না করাসহ পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের দাবি করা টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
বিউটি বিশ্বাস নামে এক পরীক্ষার্থী জানায়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি এবং কৃষিশিক্ষা দুই পত্রের ব্যবহারিক পরীক্ষা ও খাতা স্বাক্ষরের জন্য স্যারদের ৫০০ টাকা দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কিছু টাকা কম নেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও স্যাররা আমাকে নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক শিক্ষার্থী জানায়, আমি তথ্য ও প্রযুক্তি এবং কৃষিশিক্ষা দুই পত্রের জন্য স্যারদের ১ হাজার ৩৪০ টাকা দিয়েছি। যার কারণে আমার ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতায় কোনো কিছু আঁকা এবং লেখা লাগেনি। স্যাররা আমাকে ফুল নম্বর দিয়ে দেবেন।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক সুদেব বালার সঙ্গে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক বিষয়ে ৩০০ এবং দুই বিষয়ে ৫০০ করে টাকা নিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে এক টাকাও নেইনি। বিস্তারিত জানতে অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘এখন ব্যস্ত আছি’ বলে কল কেটে দিয়ে তা বন্ধ করে রাখেন। কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, কেউ নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"