খুরশিদ আলম শাওন, রানীশংকৈল (ঠাকুরগাও)
বদলি ঠিকাদার ও নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে রানীশংকৈলে জাইকার কাজ
ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল পৌরসভার অর্ন্তগত জাইকার (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপারেশন এজেন্সি) অর্থায়নে নতুন রাস্তা নির্মানের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারি কাজের হাত বদল, ল্যাব পরিক্ষা এড়িয়ে নিম্নমানের ইট দিয়ে সোলিং হচ্ছে প্রায় তিনকোটি টাকার এই কাজে। অথচ, পৌরসভার মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ার সাফাই গাইছে এই ত্রুটি পূর্ণ কাজের ঠিকাদারের হয়ে।
জানা যায়, জাইকার অর্থায়নে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকার বরাদ্দে প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ গত সেপ্টেম্বর মাসে পায় সিরাজগঞ্জের ঠিকাদার মির্জ্জা কনস্ট্রাকশন। কিন্তু তিনি আবার কাজটি করার দায়িত্ব দেন ঐ জেলার ঠিকাদার নাবিল কনস্টাকশনের প্রোঃ সুইটকে। অভিযোগ উঠেছে, রাস্তা খুড়ে ঠিকমত রোলার না করে হাতে ধুরমুজ করে এতে ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যা জাইকার নিয়মবহির্ভূত।
নিয়মনুযায়ী ইটের গুণগুত মান নির্ণয়ের জন্য ল্যাবটেস্ট করার বিধান থাকলেও তা করা হয় নি। ফলে ঠিকাদার নিম্ন মানের ইট দিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন রাস্তার খোয়া। ফলে কোন স্থায়িত্ব নেই খোয়াগুলোর। এছাড়াও কাজ শুরুর আগে সমস্ত বিবরণী দিয়ে সাইনর্বোড টাঙানোর কথা থাকলেও কোথাও তার অস্তিত্ব নেই।
এদিকে এ বিষয়ে তথ্য দিতে ছলছাতুরী করেছেন জাইকার রানীশংকৈল পৌরসভার মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল আলম। তার কাছে এমন নিম্ন মানের ইট ব্যবহারের বিষয় জানতে চাইলে এক ধরনের ঠিকাদারের সাফাই গেয়ে বলেন, আমার তো গোটা ইটের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন ৫০ এম এলের খোয়ার। গতকাল শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার ৮নং ওর্য়াডের বিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হইতে খুনিয়া দীঘি সংলগ্ন একটি রাস্তা নির্মানের কাজ চলছে। নিয়মনুযায়ী ভাটার পিকিট ইট ব্যবহার করার বিধান থাকলেও সেখানে বিভিন্ন ধরনের মিকচার ভাঙ্গা ‘রাবিশ’ ইট স্তুপ করে রাখা হয়েছে। তার পাশেই কিছু শ্রমিক ঐ ইট গুলোর খোয়া ভাঙ্গছেন। কিছু শ্রমিক ভাঙ্গা খোয়া গুলো তুলে রাস্তার সাইডে পূবেই খননকৃত দেড়ফিট প্রস্ত গর্তে ফেলছেন। অভিযোগ উঠেছে খননকৃত গর্তে পানি দিয়ে রোলার করার কথা থাকলেও করা হয় নি। এছাড়াও রাবিশ মাটি বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
ঠিকাদার সুইট এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা তিনটি ভাটা থেকে ইট নিয়েছি। একটি ভাটা আমাদের খারাপ ইট দিয়েছে। এ ইট ব্যবহার করবেন কিনা প্রশ্নে বলেন, যেহেতু দিয়ে দিছে তো আর কি করার।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে গতকাল শনিবার দুপুরে মুঠোফোন ও লোকমারফত মেয়র আলমগীর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায় নি।
"