খুলনা ব্যুরো

  ২৭ জুন, ২০১৯

খুলনা মহানগরে মাছের দাম চড়া

বাজারে সব ধরনের মাছের দাম এখন চড়া। রমজান মাসে মাছের দাম বাড়ে একদফা। পরে কয়েক দফায় অল্প অল্প করে দাম বাড়তে থাকে। সমুদ্রে মাছ ধরা শুরু এবং ঘেরের নতুন মাছ উঠতে শুরু করলে দাম কমে যাবে বলে মনে করেছেন ব্যবসায়ীরা।

খুলনার কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার মাঝারি সাইজের প্রতি কেজি চিংড়ি ৪৫০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রুই, কাতলা, মৃগেল ও পাঙ্গাশ মাছের দামও চড়া। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ২০০-৪৫০ টাকায়; কৈ ১৫০-২২০ টাকায়, সরপুঁটি আকারভেদে ১২০-১৮০, পাঙ্গাশ ১২০-১৬০, ছোট মায়া-চেলা ২০০-৩৫০, তেলাপিয়া ৯০-১২০, পারশে ৩০০-৫০০, মিনারকার্প ১৩০, চাষের শিং ও মাগুর ৫০০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া নগরীর বাজারে কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেড় কেজি ২ হাজার, ১ কেজি বা তার থেকে কম প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা এবং ৪০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকা দরে। তবে ইলিশ ধরা ও বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়ে যাচ্ছে। পুনরায় ইলিশ ধরা, সরবরাহ ও বিক্রি শুরু হলে মাছের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।

নগরীর দৌলতপুর এলাকার মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রতি বছর এ সময়ে মাছের দাম চড়া থাকে। কিছুই করার থাকে না। কিন্তু বিকল্প উপায় বের করা দরকার। কৃষি খাতে অসময়ে অনেক সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। কিন্তু মাছের ক্ষেত্রেও এ রকম উপায় বের করা প্রয়োজন।

খুলনা ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিন জানান, বাজারে ইলিশ নাই। এ কারণে মাছের দাম চড়া। ইলিশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে বাজারে আবার মাছের সরবরাহ বাড়বে। সরবরাহ বাড়লে দামও কমে আসবে।

ময়লাপোতা কেসিসি সান্ধ্য বাজার কমিটির সভাপতি মো. মোজাফ্ফার হোসেন আশেক জানান, গরমের জন্য মাছ ধরা পড়ছে কম। তাই দাম বেশি। তবে একটু বৃষ্টি হলে মাছ ধরা পড়বে এবং দাম কমে যাবে। বটিয়াঘাটা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী গীতা বিশ্বাস জানান, আমরা স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনে বাজারে বিক্রি করি। তারা যে রকম দাম নেন, আমরা সেরকম বিক্রি করি। আমাদের অল্প লাভে মাছ বিক্রি করতে হয়।

বাগেরহাট চিতলমারী এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মো. রবিউল শিকদার জানান, ঘেরের মাছ চৈত্র মাসের মধ্যে ধরা হয়ে যায়। আবার বৈশাখ মাসে নতুন মাছ ছাড়া হয়েছে। সেই মাছ বিক্রি উপযোগী হতে সময় লাগবে ভাদ্র মাস পর্যন্ত। ভাদ্র মাসে নতুন মাছ উঠলে বাজারে দাম কমে যাবে। খুলনার রূপসা পাইকারি মৎস্যবাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী হাওলাদার জানান, বাজারে মাছের চাহিদা অনেক, কিন্তু সরবরাহ কম। সরকারের নির্ধারিত ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ সময় জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরতে পারেন না। এ ছাড়া এলাকার ঘেরের মাছ এখন অনেক ছোট।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close