খেলা ডেস্ক

  ২৯ মে, ২০১৭

হতাশা ভুলে এগোনোর প্রত্যয়

বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অষ্টম আসর। প্রতিযোগিতটা যে রুদ্ধধার হবে সেটা অনুমান করা যাচ্ছে এখন থেকেই। পরশু বাংলাদেশ-পাকিস্তানের প্রস্তুতি ম্যাচ এবং ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্টে রোমাঞ্চেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। রানবন্যার দুটো ম্যাচেই উত্তেজনার রেণু ছড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে দুই উইকেটে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে প্রোটিয়ারা জিততে জিততেও পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে ২ রানের ব্যবধানে।

লক্ষ্যমাত্রা ৩৩১। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ৭ রান। হাতে অক্ষত ছিল পাঁচ পাঁচটি উইকেট। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ম্যাচটা জিততে পারেনি প্রোটিয়ারা। শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান নিয়েছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল। ওই হারের সঙ্গে সিরিজ থেকেও ছিটকে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের ওই হারের খবরটা হয়তো কিছুটা হলেও শান্ত¦না দিয়েছে ৩৪১ রান করে হেরে যাওয়া বাংলাদেশকে। টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন ক্রিকেটীয় অনিশ্চয়তার কথাটা, ‘ক্রিকেট খেলাটায় আসলেই যে কোনো কিছুই হতে পারে।’

ক্রিকেটে অনিশ্চয়তা থাকবে এটা অবশ্য অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ৩৪১ রানের পাহাড় নিয়েও যখন সেটা আগলে রাখা না যায় সেটা অবশ্যই হতাশার। পাকিস্তানের মতো ধুঁকতে থাকা দল যখন নবম উইকেটে ৯৩ রান স্কোর বোর্ডে জমা করে কিংবা শেষ ৩৩ বলে ৮২ রান করে তখন সেটা শুধু ক্রিকেটীয় অনিশ্চয়তা-ই নয়, নিজেদের বোলিং ব্যর্থতাও বটে। হোকটা ম্যাচটা প্রস্তুতির তাতে কী। বাংলাদেশ অবশ্য দদুঃস্বপ্নের ম্যাচটা দ্রুতই ভুলে যেতে চাইছে।

কাল সকালেই বার্মিংহাম ছেড়ে বসে চড়ে লন্ডনের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিল। শহরটা ছাড়লেও বার্মিংহামের ম্যাচটাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে নারাজ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিতে চান তিনি। ভুল-ত্রুটি খুঁজে বের করে মূল প্রতিযোগিতায় প্রয়োগ করাই কার্যত চ্যালেঞ্জ। ম্যাচের শেষ না হওয়া পর্যন্ত জয়ের কথা ভাবাটা যে বোকামি সেই শিক্ষাটাও পেয়েছে বাংলাদেশ। পরশু ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস তো বলেই দিয়েছেন- তারা ভেবেছিলেন ম্যাচটা জিতে যাবে। মাশরাফির কণ্ঠেও ছিল একই সুর, ‘ম্যাচটা যে অবস্থায় ছিল, বেশিরভাগ সময়ই হয়ত আমরা বা যে কেনো দল এখান থেকে সহজেই জিতবে। তবে মাঝে মঝে যে ব্যতিক্রমও হতে পারে, সেটি এই ম্যাচে বুঝতে পেরেছি আমরা। এরকম কিছু হয় বলেই ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। আমরা হয়তো সেটি সবসময় বলি, কিন্তু মাঠে মনেও রাখা উচিত সবসময়।’

অপ্রত্যাশিত সেই হার থেকেও অবশ্য ইতিবাচক কিছু খুঁজে নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ম্যাচটাকে নিজেদের শিক্ষা হিসেবে ধরে নিয়েছেন মাশরাফি। বলেছেন, ‘হার তো কখনোই ভালো কিছু নয়, সেটি প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও। আবার এটাও সত্যি, প্রস্তুতি ম্যাচে জয়-হারের চেয়ে নিজেদের চেনা, বোঝাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক থেকে এভাবে হারাটা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা। মূল টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই এটা হওয়ায় আমাদের জন্য ভালো হলো।’

ম্যাচটা হারায় বিস্মিত হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবীরাও। টিম বাসে ওঠার আগে লঙ্কান কোচ বলেছেন, ‘কী এক ম্যাচ হলো!’ কথাটা বললেও হাসি দিয়ে হতাশাটা আড়াল করতে চেয়েছিলেন সামারাবীরা। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে রাগঢাক না রেখে খোলাখুলিই বললেন তার হতাশার কথা। নবম উইকেটে ৭ ওভারে ৯৩ রান তুলে প্রতিপক্ষের ম্যাচ জয়, বাংলাদেশ কোচ যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। বাসে ওঠার আগে বললেন, তিনিও এমন কিছু ভাবতে পারেননি। ‘এমন কিছু আগে কখনও দেখিনি। আমার জন্যও এটি নতুন অভিজ্ঞতা।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist