ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

সেরা আটে শেখ জামাল

হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যে আগ্রাসী ফুটবলের পসরা মেলে ধরল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, ডিম্বা অগাস্টিনদের নৈপুণ্যে তুলে নিল দাপুটে জয়; নিশ্চিত করল সেরা আটে খেলাও। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় গতকাল মঙ্গলবার ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪-১ গোলে জিতেছে শেখ জামাল। এ জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করল ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

বাংলাদেশ পুলিশ এফসির সঙ্গে ২-২ ড্রয়ে গ্রুপ পর্ব শুরু করা রহমতগঞ্জ পেল প্রথম হারের তেতো স্বাদ। দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে পুরান ঢাকার দলটিকে সেরা আটে উঠতে হলে তাকিয়ে থাকতে হবে শেখ জামাল ও পুলিশ এফসির গ্রুপের শেষ ম্যাচের দিকে। এদিকে প্রিমিয়ার লিগে ধুঁকছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ফেডারেশন কাপেও বিবর্ণতা ঝেড়ে ফেলতে পারল না তারা। ফর্টিস এফসির কার্যকর ফুটবলের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে যাত্রা শুরু করল প্রতিযোগিতার ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়নরা। মুন্সীগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘সি’ গ্রুপে ম্যাচে শেখ রাসেলকে ৩-১ গোলে হারায় ফর্টিস। জোড়া গোল করেন পা ওমর বাবৌ; অন্য গোলদাতা আমির হাকিম বাপ্পি। শেখ রাসেলের একমাত্র গোলদাতা সেলেমানি ল্যান্ড্রি।

১১ মিনিটে ইগর লেইতের নিচু শট সরাসরি গোলরক্ষক বরাবর যাওয়ার পর ১৮ মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। বাম দিক থেকে জয়নাল আবেদিন দিপুর ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড অগাস্টিন। ২৮ মিনিটে লেইতের দূরপাল্লার জোরালো শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি গোলরক্ষক আলিফ। একটু পর ‘ওয়ান অন ওয়ান’ পজিশনে বল পেয়েও ফাহিম পারেননি লক্ষ্যভেদ করতে। বলে প্রথম স্পর্শ জোরে হওয়ায় বলের নিয়ন্ত্রণ হারান এ ফরোয়ার্ড। হতাশার ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে ৩১ মিনিটে দৃষ্টিনন্দন ভলিতে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ফাহিম। বিরতির আগে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নেয় শেখ জামাল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবু সাইদের থ্রু পাস আলতো টোকায় বের করে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন লেইতে। কিন্তু তাড়াহুড়া করে এ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট দিয়ে। ৬৫ মিনিটে ম্যাচে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় রহমতগঞ্জের। দাউদা সিসের পাস ধরে অনেকটা এগিয়ে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান জুয়েল রানা। কিন্তু রাজন হাওলাদার ফাঁকা পোস্ট পেয়েও মেরে বসেন বাইরে। ৮৫ মিনিটে শেখ জামালকে জয়ের পথে আরো এগিয়ে নেন সাজ্জাদ হোসেন। ইগরের পাসে ছোট ডি-বক্সের ভেতর থেকে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান দাউদা সিসে। কিন্তু শেখ জামালকে চেপে ধরার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না মোটেও। বরং দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে কোনাকুনি শটে দলের দাপুটে জয় নিশ্চিত করে দেন ফাহিম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close