ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১২ জানুয়ারি, ২০২৪

পাপন ছাড়তে চান বিসিবির দায়িত্ব!

মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্ব ছাড়তে পারেন নাজমুল হাসান পাপন। যদিও একসঙ্গে দুই দায়িত্বে থাকতে নেই কোনো বাধা। তবে

কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যের ভাবনা কী, সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে এবার মুখ খুলেছেন পাপন নিজেই। মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করতে বঙ্গবভনে উপস্থিত হন পাপন। সেখানে তিনি গণমাধ্যকে জানান বিসিবি সভাপতির পদ নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা।

যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ায় বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়বেন কি না- এমন প্রশ্নে পাপন বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, বিসিবির সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। আগেও আমাদের এখানে অনেক মন্ত্রী ছিলেন, যারা বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশেও আছে। কিন্তু সেটা ইস্যু না। আমার আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল এ মেয়াদেই দায়িত্ব ছাড়ার। যেটা শেষ হবে আগামী বছর। আমি চেষ্টা করব, এ বছর শেষ করা যায় কি না।’ অতীত ইতিহাস বলছে, একইসঙ্গে বিসিবির সভাপতি ও মন্ত্রিত্ব পালন করেছেন অনেকেই। ৪ জুলাই ১৯৯৬ থেকে ১৮ আগস্ট ২০০১ সাল পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। ওইসময় সংসদ সদস্য থাকা সাবের হোসেন সাড়ে ৩ বছর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন। ১ জানুয়ারি ১৯৯৮ থেকে ১৫ জুলাই ২০০১ সাল পর্যন্ত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন সাবের।

তালিকাটা বেশ দীর্ঘই বলা যায়। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ একইসঙ্গে ছিলেন বিসিবির সভাপতি। এরপর আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানও ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ৫ বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এদিকে শুধু বিসিবির দায়িত্বেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থারও (আইসিসি) বেশকিছু দায়িত্বে আছেন পাপন। মেয়াদ শেষের আগে তাই বিসিবির দায়িত্ব ছাড়তে চাইলেও আইসিসির দায়িত্ব ছাড়া নিয়ে কিছুটা ঝামেলা পোহাতে হবে তাকে।

পাপন বলেন, ‘আইসিসির আবার কিছু নিয়মকানুন আছে। ওদের বেশকিছু কমিটিতে আমি আছি। বিশেষ করে চেয়ারম্যানও আছি। ওরা আবার এটা পরিবর্তন করে না। মেয়াদ শেষ করার আগে নতুন কাউকেও নেয় না। সামনের বছর তো এমনিতেই করতাম। চেষ্টা করব, এ বছর শেষ করা যায় কি না।’ ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন পাপন। এরপর দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। টানা চতুর্থ মেয়াদে তিনি এ দায়িত্বে রয়েছেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের নির্বাচনে বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হন তিনি। সেখান থেকে পরিচালকদের ভোটে সভাপতি হন পাপন। যে কমিটির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close