ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৮ মার্চ, ২০১৯

প্রীতি ম্যাচ

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফেরা

চলতি বছরের শুরুটা ভালো হয়নি লাতিন আমেরিকার দুই জায়ান্ট দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। দুটো দলই হোঁচট খেয়েছে বছরের প্রথম প্রদর্শনী ম্যাচে। আর্জেন্টিনা তো ভেনিজুয়েলার কাছে ৩-১ গোলে হেরেই বসেছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে আবার নয় মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তার ফেরাটা সুখের হয়নি। একই দিনে আর্জেন্টিনার মতো পা হড়কেছিল ব্রাজিল। সেলেকাওদের রুখে দিয়েছিল পুঁচকে পানামা। পরশু রাতে দুটি দলই প্রত্যাশিত জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পিছিয়ে পড়েও চেক প্রজাতন্ত্রকে তাদেরই মাঠে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। মরোক্কোর মাঠে আর্জেন্টিনা জিতেছে ন্যূনতম ব্যবধানে; অ্যাঙ্গেল কোরেরার অন্তিম সময়ের গোলে। ৮৩ মিনিটে মাতিয়াস সুয়ারেজের বাড়ানো বল থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়ান কোরেরা। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।

প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্তভাবে খেলায় ফিরেছে ব্রাজিল। ম্যাচে সেলেকাওদের গোলের মূল কারিগর নেইমার ছিলেন না। তবে তার অভাববোধ করতে দেননি ফিরমিনো-জেসুসরা। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে ব্রাজিলের জালে বল জড়ান ডেভিড পাভেলকা। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে অতিথিরা। দ্বিতীয়ার্দের শুরুতেই চেক রিপাবলিকের রক্ষণের ভুলে সমতায় ফেরে ব্রাজিল। রবার্তো ফিরমিনোর গোলে সমতায় ফেরে পাঁচবারের বিশ্বসেরারা। বল দখলে এগিয়ে থেকে ম্যাচের শেষ দিকে এসে ব্যবধান বাড়ান ফিলিপ্পে কুতিনহোর বদলি হিসেবে মাঠে নামা জেসুস। ৮৩ মিনিটে জেসুসের গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে স্বাগতিকদের বুকে শেষবারের মতো ছুরি চালান ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকারই। আলানের বাড়ানো বল দুবারের চেষ্টায় জালে জড়ান জেসুস।

জয়ের জন্য ব্রাজিলকে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি। তবে তাদের প্রতিবেশী ক্লাব আর্জেন্টিনাকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হলো মরক্কোর মাঠে। বলের নিয়ন্ত্রণে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে ছিল মরক্কো। প্রীতিম্যাচে খেলা ছিল কম; ছিল ফাউলের ছড়াছড়ি। পুরো ম্যাচে সব মিলিয়ে ৪৯ বার ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি। এর মধ্যে প্রথমার্ধেই ৪১ বার! মরক্কোর মাঠে প্রথমার্ধ গোলশূন্য হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে কোরেরার গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।

মেসিহীন আর্জেন্টিনাকে মনে হয়েছে রংচটা, ছন্নছাড়া। যেন মাঝিহীন কোনো নৌকা। বল দখলে ব্যর্থ হয়ে যেন ফাউলে মনোযোগী হয় আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা। পুরো ম্যাচে ২৭ বার ফাউল করেছেন স্কালোনির শিষ্যরা। স্বাগতিকরাও কম কীসে! মরক্কোর খেলোয়াড়রা ফাউল করেছেন ২২টি। এমন ম্যাচে প্রথমার্ধে গোলমুখে বলার মতো শট নিতে পারেননি দুই দলের কোনো খেলোয়াড়ই। অতিথিরা মরক্কোর জালে শট নিয়েছে ১৩টি। এর মধ্য মাত্র দুটি শটই লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে আর্জেন্টাইনরা। আর মরক্কোর খেলোয়াড়রা গোলমুখে শট নিয়েছেন ১০টি। দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারলেও বাকি সব শটই ছিল বেপথে ও এলোমেলো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close