ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

কুমিল্লাকে গুঁড়িয়ে শীর্ষে রংপুর

একদিন আগে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে উত্তেজনার বারুদে ঠাসা ম্যাচে নাটকীয় জয় পেয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। আনন্দটা তরতাজা থাকতেই বিপরীত অভিজ্ঞতা হলো ইমরুল কায়েসদের। কাল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বাজেভাবে হেরে গেছে কুমিল্লা। আর দুর্দান্ত জয়ে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে শীর্ষ থেকেই ঢাকা পর্ব শেষ করেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।

কাল দিনের প্রথম ম্যাচে আসল কাজটা করে দিয়েছিলেন বোলাররাই। রংপুর রাইডার্সের দুই ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল আর এবি ডি ভিলিয়ার্স দিলেন তুলির শেষ আঁচড়টুকু। তাদের ব্যাটে চড়ে কুমিল্লার ছুড়ে দেওয়া মামুলি ৭৩ রানের লক্ষ্য ৯.৩ ওভারেই পেরিয়ে গেছে রংপুর। ৯ উইকেটের জয়ে বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার এক নাম্বারে উঠেই প্লে-অফের মঞ্চে দাঁড়িয়েছে মাশরাফি বাহিনী।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সঞ্জিত সাহার বলে ওপেনার মেহেদী মারুফ বোল্ড হয়ে ফেরেন মাত্র ৫ রানে। তবে পরের সময়টায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বোলারদের আর কোনো সুযোগ দেননি দুই মারকুটে ব্যাটসম্যান গেইল আর ডি ভিলিয়ার্স। ৬৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টরা।

৩০ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় গেইল অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। ডি ভিলিয়ার্স মাত্র ২২ বলে করেন ৩৪ রান। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি চার আর ২টি ছক্কায়।

এর আগে রংপুর রাইডার্স বোলারদের তোপে মাত্র ৭২ রানেই গুটিয়ে যায় কুমিল্লার ইনিংস। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। কিন্তু বল হাতে নিয়ে শুরু থেকেই কুমিল্লার ব্যাটসম্যানদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকেন রংপুরের বোলাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তামিম ইকবালকে শূন্য রানে ফিরিয়ে মেইডেন নেন নাহিদুল ইসলাম।

নিজের পরের ওভারেই রান খরায় ধুকতে থাকা আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়কেও (৫) ফেরান নাহিদুল। চতুর্থ ওভারে উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন মাশরাফি। পরপর দুই ওভারে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন ইমরুল কায়েস (০) এবং শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরাকে (৩)। মাঝে চতুর্থ ওভারে শামসুর রহমানের (১২) উইকেট নেন শহীদুল ইসলাম।

ষষ্ঠ ওভারে মাত্র ২৩ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে যান কুমিল্লার পাঁচ ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে খানিক প্রতিরোধ গড়েন লিয়াম ডসন এবং জিয়াউর রহমান। ২ চারের সঙ্গে ১ ছয়ের মারে ইনিংস সর্বোচ্চ ২১ রান করেন জিয়া। তাদের ৩৩ রানের জুটি ভাঙেন রবি বোপারা।

পরে কুমিল্লার লেজটা ছেটে দেওয়ার কাজটি করেছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডারই। ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচায় তিনি তুলে নেন ৩ উইকেট। তবে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে সঞ্জিত সাহাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট নিয়ে নেন লেগ স্পিনার মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি। ম্যান সেরার পুরস্কারটাও উঠেছে বোপারার হাতে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close