ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২১ অক্টোবর, ২০১৮

‘এই সিরিজটাও চ্যালেঞ্জিং’

প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। এ বছর যারা এখন পর্যন্ত একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেনি। সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ৩১টি ম্যাচের ২৫টিতেই হেরেছে তারা। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট এখন কোন পর্যায়ে আছে তা বোঝাতে এই পরিসংখ্যানগুলোই যথেষ্ট। বাংলাদেশের একসময়কার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও এখন বিস্তর তফাৎ।

শক্তিমত্তা, র‌্যাঙ্কিং, মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল কিংবা সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সÑ সবকিছুতেই বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে। তবু আজ থেকে শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজটাকে ভালোই অগ্রাধিকার দিচ্ছে বাংলাদেশ। কারণটাও অনুমেয়। প্রথমতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ, পরের কারণ দলে ইনজুরির গ্রাস। জিম্বাবুয়ের কাছে হোঁচট খাওয়ার একরকম প্রেক্ষাপট তৈরি হয়ে আছে। তাই সতর্ক সাকিব-তামিমবিহীন বাংলাদেশ।

ক্রিকেটের নতুন শুরুর জন্য বাংলাদেশ সফরকেই উপলক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। দলে ফেরানো হয়েছে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের। তাই এই জিম্বাবুয়েকে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। সিরিজটা যে চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে সেটা মাশরাফির কথাতেই পরিষ্কার, ‘প্রতিটি ম্যাচেই চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা জয়ের প্রত্যাশাই করছি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে গত এশিয়া কাপে যে চ্যালেঞ্জটা নিয়ে খেলেছি সেটা এখানেও থাকবে। ওদের দলে প্রায় সব সিনিয়র খেলোয়াড়রা ফিরে এসেছে। তা ছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে ওদের ভালোই রেকর্ড আছে। সুতরাং আমাদের ১০০ ভাগ দিয়েই খেলতে হবে। হয়তো জিতলে সবাই বলবে, এটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হারলে ভিন্ন কথা হবে, এটাই স্বাভাবিক।’

এশিয়া কাপে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। দুজনই আপাতত আছেন নির্বাসনে। দলে যারা আছেন তাদের কয়েকজনেরও আছে চোট শঙ্কার অস্বস্তি। ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাই কোনো প্রকার ঝুঁকিতে যেতে চাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। নির্বাচকরা দলে নতুন এবং তরুণ মুখ হিসেবে কয়েকজনকেই দলে রেখেছেন। তরুণদের জন্য এই সিরিজটা হয়ে উঠছে নিজেকে প্রমাণের মঞ্চ।

দারুণ কিছু করতে পারলে বিশ্বকাপ দলেও জায়গা করে নেবেন এদের মধ্যে কেউ কেউ। কাল সিরিজ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তেমনই আভাস দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বলেছেন, ‘এশিয়া কাপে দলের ওপর দিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা গিয়েছে। এখন দুজন (সাকিব ও তামিম) খেলবে না। রুবেলও হাসপাতালে ছিল। ইনজুরি নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। তবে আমরা সেরা দলটাই গড়ার চেষ্টা করব। বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে নতুন কিছু খেলোয়াড়কে নেওয়া হয়েছে দলে। তাদের দেখে নেওয়ার এটাই সুযোগ। এটা যেমন মাথায় রাখতে হবে তেমনি ম্যাচ জেতাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

৯ মাস পর ঘরের মাঠে কোনো সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। এই সময়ের মধ্যে দেশের বাইরেই বেশির ভাগ খেলেছে টাইগাররা। দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠে লড়াই বিধায় স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসী মাশরাফি অ্যান্ড কোং। কাল সংবাদ সম্মেলনে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেছেন, ‘অনেক দিন পর ঘরের মাঠে খেলতে যাচ্ছি। দলের সবাই আত্মবিশ্বাসী। সাকিব-তামিম নেই। সবাই সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছে। সবাই নিজের খেলাটা খেলতে চায়।

সাকিব-তামিম না থাকায় সিরিজটা কিছুটা হলেও কঠিন বাংলাদেশের জন্য। বড় দলগুলোর মতো তাই জিম্বাবুয়েকেও সমীহ করছেন মাশরাফি। বলেছেন, ‘আমাদের জন্য এই সিরিজটাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের আগে খেলার মতো এমন চারটি সিরিজ আছে। এটা আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। জিম্বাবুয়েও সেরা দল নিয়ে এসেছে।’

সিরিজ জয়ের জন্য আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরুটা ইতিবাচক চান মাশরাফি। বলেছেন, ‘যেকোনো সিরিজের প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করতে চাই।’ মাশরাফির আরো একটা প্রত্যাশা আছে। ঘরের মাঠের উইকেটটা নিজেদের পছন্দসই চান তিনি। যদিও মিরপুরের উইকেট নিয়ে বেশ সংশয়েই আছেন তিনি, ‘মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা খুবই কঠিন। ভালো উইকেটে খেলতে চেয়েছি। এখন উইকেট ভালো হলেই হয়। এখন উইকেটের কী অবস্থা সেটা অনুমান করা একটু কঠিন।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close