নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৮ মার্চ, ২০২৪

সাংবাদিকের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি ছাত্রলীগ নেতার

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক এবং স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেট প্রতিদিনের স্টাফ ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেলের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সিলেট মহানগর ২নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পিয়াং সোমসহ তার অনুসারীরা।

গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় নগরীর বন্দরবাজার কোর্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তারা নিজেদের ছাত্রলীগ ও সিলেটের কুট্টি দাবি করে দাম্ভিকতা প্রদর্শন করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

জানা যায়, সাংবাদিক রেজা রুবেল বুধবার বিকেলে তার কর্মস্থল সিলেট প্রতিদিনের অফিস থেকে পেশাগত কাজে সিটি করপোরেশনে যাওয়ার পথে নগরীর বন্দরবাজারের কোর্টের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন ছেলে জোরপূর্বক অপর একটি ছেলেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তোলার চেষ্টা করতে দেখেন। এসময় তিনি তার কারণ জানতে চাইলে তারা অতর্কিতভাবে রেজা রুবেলের ওপর হামলা চালায়। তখন সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ও সাংবাদিকদের নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে পিয়াংসহ তার সঙ্গীরা। এসময় নিজের আত্মরক্ষার্থে রেজা রুবেল দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন নিকটস্থ বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে। কিন্তু সেখানে গিয়েও পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি।

তবে হাত কেটে নেয়ার হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সিলেট মহানগর ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পিয়াং সোম।

ছাত্রলীগ নেতা সোম বলেন, আমরা তাকে চিনতে পারিনি। এসময় ছোট ভাই কয়েকজন তর্কে জড়িয়ে পড়ে। আমি তাদেরকে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- আপনি হুমকি প্রদান করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি হুমকি দেননি বলে অস্বীকার করেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ বলেন, ছাত্রলীগ কখনো সন্ত্রাসী কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কোনো সন্ত্রাসী কাজ করে থাকলে এর দায় সংগঠন নেবে না। তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। এরকম কিছু ঘটে থাকলে সাংবাদিকদের সাথে মহানগর ছাত্রলীগ সব সময় পাশে থাকবে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক রেজা রুবেল বলেন, একজন ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দেখে আমি কারণ জানতে চাইলে তারা আমার চড়াও হয়। সাংবাদিক পরিচয় দিলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আমার হাত কেটে নেয়ার হুমকি দেয়। আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এবিষয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) কল্লোল গোসাম্বী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close