প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৪ মার্চ, ২০২৪

জিম্মি জাহাজ আবদুল্লাহ

আন্তর্জাতিক অভিযানে আতঙ্কে জলদস্যুরা

আন্তর্জাতিক বাহিনীর সম্ভাব্য উদ্ধার প্রচেষ্টায় আতঙ্কের মধ্যে সোমালি জলদস্যুরা বাংলাদেশি জিম্মি জাহাজ আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। তারা জাহাজটি উপকূলের কাছাকাছি তীরের দিকে সরিয়ে নিয়েছে। জাহাজে থাকা নাবিকদের চলাফেরায়ও শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ রেখেছে। সপ্তাহখানেক ধরে জিম্মির এ ঘটনায় পরিস্থিতির ওপর জোর দিতে তারা নাবিকদের প্রথমবারের মতো তাদের বাসায় ফোন দিয়ে কথা বলারও অনুমতি দেয়। খবর দ্য মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ

এদিকে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ওপর কড়া নজর রাখার কথা জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। জাহাজটিকে দস্যুর সোমালিয়ায় নিয়ে গেছে। গতকাল শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানান, ভারত মহাসাগরে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তার বাহিনী ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে।

এডেন উপসাগর, আরব সাগর ও লোহিত সাগরে ড্রোন বিধ্বংসী, ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ও জলদস্যুবিরোধী আক্রমণে ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানের ১০০ দিন সম্পর্কে ব্রিফিংয়ের সময় এ কথা বলেন তিনি।

ভারতীয় নৌপ্রধান আরো বলেন, আগে প্রতিদিন ৫৪-৫৫টি জলদস্যুপ্রতিরোধী জাহাজ থাকত। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪-৬৫টিতে। ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের কাজ সম্পর্কে খুব স্পষ্ট। ভারত মহাসাগর, আমাদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। আমরা যদি ব্যবস্থা না নিই, তাহলে কে নেবে?’

মেরিটাইম এক্সিকিউটিভের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ইউনাভফর আটলান্টা মিশনের সঙ্গে কাজ করা একটি যুদ্ধজাহাজ যা সোমালিয়ায় জাহাজটিকে শনাক্ত করার পরে দূর থেকে আবদুল্লাহকে দেখছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাহিনীর যেকোনো প্রচেষ্টাকে সফল হতে না দিতে জাহাজটি সোমালি উপকূল থেকে মাত্র চার মাইল দূরে অবস্থান করা হয়েছিল। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার এবং এসকে শিপিংয়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তারা জোর করে কোনো পদক্ষেপ অনুমোদন করেননি। ঘটনাটির দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যাপারে তারা আশাবাদী।

জাহাজের মালিকপক্ষ জলদস্যুদের তৃতীয় পক্ষের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে বুধবার যে তথ্য জানিয়েছে, তারপরে আর কোনো অতিরিক্ত তথ্যই প্রকাশ করেনি। সেই সময় বলা হয়েছিল যে, কোনো নির্দিষ্ট মুক্তিপণ দাবি করেনি জলদস্যুরা।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। জিম্মিকাণ্ডের নবম দিনে এসে ২০ মার্চ জাহাজটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জলদস্যুরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close