নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩১ জুলাই, ২০২০

কমলাপুরে অভিভূত যাত্রীরা, নেই ভিড়

টিকিট কাউন্টারে দীর্ঘলাইন, তাড়াহুড়ো করে স্টেশনে প্রবেশ, যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, গাদাগাদি করে ট্রেনে ওঠা, ঈদ এলেই এমন দৃশ্য চিরচেনা। কিন্তু চিত্র পাল্টে দিয়েছে মহামারি করোনা। ঈদযাত্রায় নেই আগের মতো ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে যাত্রীদের। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেখা গেছে, স্টেশনে ঢুকতেই যাত্রীদের টিকিট আছে কিনা তা চেক করা হচ্ছে। যাদের কাছে টিকিট আছে শুধু তারাই স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন। প্ল্যাটফর্মে তেমন ভিড় নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জুয়েল বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার ঈদে স্পেশাল কোনো ট্রেন চালু করা হয়নি। সীমিত আকারে যে ট্রেনগুলো চালু ছিল সেগুলোই চলছে। এখন ১২টি ট্রেন চালু আছে। এগুলো সময়মতো আসছে এবং সঠিক সময়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। আজ ১২টি ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে তিনটি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে চলে গেছে। কোনো বিলম্ব হয়নি। বাকিগুলো আশা করছি বিলম্ব হবে না।

তিনি বলেন, শুক্রবার (আজ) থেকে ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি শুরু হবে। এ জন্য আমরা স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বাড়তি চাপ সামলাতে আমরা অতিরিক্ত কর্মী নিয়োজিত করেছি। এছাড়া র?্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের নিরাপত্তাজনিত সব ধরনের সহযোগিতা করছে।

আমিনুল হক বলেন, আমরা দেখছি সকাল থেকে অনেক যাত্রী টিকিট ছাড়া স্টেশনে আসছেন। তারা মনে করছেন হয়তো স্টেশনে গেলে টিকিট পাওয়া যাবে। আমি যাত্রীদের আহ্বান করছি কেউ যেন টিকিটবিহীন স্টেশনে না আসেন। কারণ টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্যান্য বার বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রী উঠত। কিন্তু এবার এই সুযোগ নেই। কারণ আমাদের ট্রেনগুলো কমলাপুর থেকে সরাসরি গন্তব্যে চলে যাবে। বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে কোনো যাত্রা বিরতি দেবে না।

স্টেশনের ব্যবস্থাপনা দেখে বেশ খুশি যাত্রীরা। রাজশাহী যাওয়ার জন্য স্টেশনে এসেছেন হাসিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, আরো এক সপ্তাহ আগে অনলাইনে টিকিট কেটেছি। স্টেশনের ব্যবস্থাপনাও ভালো লাগলো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই প্রবেশ করছেন। এখন সঠিক সময় ট্রেন ছাড়লে ভালো।

ঈদের আগে এমন দৃশ্য কোনো সময় দেখেননি জানিয়ে হাসিবুল বলেন, আগে টিকিট কাটা থাকলেও তাড়াহুড়ো করে ভিড়ের মধ্যে ট্রেনে উঠতে হতো। এখন তো খুব সুন্দর পরিবেশ। তবে ভালোই লাগছে এ অবস্থা সব সময় থাকলেই হয়।

এদিকে টিকিট না কাটায় অনেককে বিপাকে পড়তে দেখা গেছে। এমন এক যাত্রী পলাশ বলেন, আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। সব সময় প্ল্যাটফর্মের টিকিট কেটে গ্রামে যাই। টিকিট ছাড়া স্টেশনে ঢুকতে দিচ্ছে না। আবার অনলাইন ছাড়া টিকিট কাটার কোনো ব্যবস্থা নেই। এতকিছু তো আর বুঝি না। কী আর করা, এখন বাসে গ্রামে যেতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close