বগুড়া প্রতিনিধি

  ২৯ মার্চ, ২০২০

সীমিত সাধ্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ১২০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই নতুন ভবনে আরো অন্তত ৫০ বেড স্থাপন করা হবে। এছাড়াও শমিজেক, টিএমএসএস, রফাতউল্লাহসহ অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জানা গেছে, সীমিত সাধ্যেই সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন চিকিৎসকরা। এখন নির্দেশ পেলেই রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে চাহিদা মতো সরঞ্জাম নেই বলেও অভিযোগ করেন তারা।

কর্তৃপক্ষ বলছে, চিকিৎসকদের জন্য পাঁচ হাজার পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) চাওয়া হলেও গত শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত মিলেছে মাত্র ১০০টি। এছাড়াও সরবরাহ করা হয়নি করোনা শনাক্তকরণ কিট।

কাজল জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাসপাতালের পুরাতন ভবনে এরই মধ্যে ১২০ বেড প্রস্তুত হয়েছে। শিগগিরই পেছনের নতুন চারতলা ভবনে আরো অন্তত ৫০ বেড স্থাপন করা হবে। চিকিৎসক ও নার্সদের চলাচলের সুবিধার্থে দুই বেডের মধ্যে পাঁচ ফুট করে ফাঁকা রাখা হয়েছে। আপাতত ১০ দিন চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ৩০ সদস্যের একটি চিকিৎসক প্যানেল গঠন করা হয়েছে। তিনজন চিকিৎসক ২৪ ঘণ্টা ডিউটি শেষে বাড়িতে ফিরে ১০ দিন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। এই তিন চিকিৎসক সুস্থ থাকলে কোয়ারেন্টাইন শেষে ফের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হবেন। বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের এই প্যানেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স ও অন্যান্য স্টাফও প্রস্তুত রয়েছেন। ডা. শফিক আমিন কাজল আরো জানান, করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এক সেট ডিজিটাল এক্সরে মেশিন, ১০ বেডের আইসিইউ, ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ওষুধ, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, নেবুলাইজার, পাঁচ হাজার পিপিই, বায়োকেমিক্যাল অ্যানালাইজারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চাওয়া হয়েছে। তবে শুধু ১০০ পিপিই পিস এসেছে। তবে এরপরও চিকিৎসকরা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, পিপিই ১০০ পিস এসেছে, শিগগিরই আরো ৩০০ পিস আসবে। শজিমেক হাসপাতাল থেকে দুটি ভেন্টিলেটর, দুই বেডের আইসিইউ আনা হচ্ছে। এছাড়া ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে। করোনা শনাক্তকরণ কিট বিভাগীয় পর্যায়ে এসেছে; শিগগিরই বগুড়ায়ও আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ১২০ বেড ছাড়াও বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে আলাদা ১৪ বেড, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ২০ বেড, ১২ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি করে ২৪ বেড প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ১৭০টি ক্লিনিকে দুটি করে বেড রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ৬৪৯ বেডের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুত আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close