নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

দেখে মনে হয় গাড়ির হাট

নারায়ণগঞ্জে সড়ক দখল করে যানবাহনের স্ট্যান্ড

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস সড়কের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে সিএনজি, সিএনজিচালিত যানবাহন ও রেন্ট-এ-কারের স্ট্যান্ড। অবৈধ সিএনজি, অটোস্ট্যান্ডের কারণে সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট এতটাই তীব্র হয় যে হেঁটে চলাও কষ্টকর হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের জন্য। আইন থাকলেও তা তোয়াক্কা না করে এসব অবৈধ সিএনজি, অটোস্ট্যান্ড ও রেন্ট-এ-কারের স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। আর অবৈধ এসব স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিদিন সৃষ্টি হয় যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লার যাত্রীরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে আধুরিয়া পর্যন্ত মহাসড়কের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে বিশ্বরোড, বরাব, রূপসী, বরপা, কর্ণগোপ, ভুলতা, গোলাকান্দাইল ও আধুরিয়াসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০টি সিএনজি ও অটোস্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এমনকি ভুলতা থেকে গোলাকান্দাইল পর্যন্ত মহাসড়কের এক অংশ দখল করে রেন্ট-এ-কারের স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়। এতে প্রায় প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

ভুলতা ফ্লাইওভার চালু হওয়ার পর ঢাকা-সিলেট সহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়িগুলো ফ্লাইওভার দিয়ে চলে যাওয়ার কারণে যানজট অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু ভুলতা-মুড়াপাড়া সড়কের প্রবেশমুখ ও মহাসড়কের অনেকটা জায়গা দখল করে সিএনজি ও অটো স্ট্যান্ড গড়ে তোলায় সারা দিনই এখানে যানজট লেগে থাকে। মহাজমপুর বরপা সড়কের বরপা বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন সিএনজি ও অটোস্ট্যান্ড। এখানেও মহাসড়কের একাংশ দখল করে বরপা থেকে যাত্রাবাড়ী আসা যাওয়ার গ্রিনবাংলা নামক সার্ভিসের স্ট্যান্ড।

ঢাকা-সিলেট রোডের গোলাকান্দাইল, ভুলতা ও সাওঘাট এলাকার মহাসড়কের চিত্র হলো ভিন্ন। অনেক সময় সিএনজি অটো, ইজিবাইক ও রেন্ট-এ-কার গাড়ির কারণে মনে হয় এখানে গাড়ির হাট বসেছে। তারা প্রায় মহাসড়কেই স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে। বিশ্বরোড এলাকায় মহাসড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ট্রাক স্ট্যান্ড। এই ট্রাক স্ট্যান্ডের কারণে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। বরাব বাস স্ট্যান্ডের দুই পাশেই মহাসড়কের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে অটোস্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। রূপসী, কর্ণগোপ, আধুরিয়া প্রতিটি শাখা রাস্তায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে মিলিতভাবে একটি চক্র এ অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তোলে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সড়ক ও মহাসড়কের পাশে অনেক স্থানে সরকারি খালি জায়গা ও জলাশয় রয়েছে। এগুলো ভরাট করে মহাসড়কের পাশে সিএনজি ও অটোরিকশার স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে বেআনিভাবে। এগুলো সরিয়ে নিলে মানুষের ভোগান্তি অনেক কমতে পারে। তখন আর মহাসড়কের প্রবেশমুখ বন্ধ হবে না। তখন যানজটও থাকবে না।

জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহাবুব শাহ বলেন, যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ সব সময় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে থাকে। প্রতিদিনই আমরা সিএনজির অটোরিকশার স্ট্যান্ডগুলো সরিয়ে দিই। তারা যাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রবেশ মুখ বন্ধ করতে না পারে সেজন্য স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন রফিকুল হক বলেন, যানজট নিরসনের কাজটা মূলত ট্রাফিক পুলিশের। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি যানজট নিরসনে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ যথেষ্ট কাজ করে। মহাসড়কের পাশে সিএনজি ও অটোস্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close