নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ নভেম্বর, ২০১৯

উড়োজাহাজে পেঁয়াজের প্রথম চালান এসেছে

আকাশপথে পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দর থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে আজারবাইজানভিত্তিক একটি বেসরকারি সিল্ক সংস্থার পণ্য পরিবহনকারী উড়োজাহাজে এই চালান এসে পৌঁছে। চালানটির আমদানিকারক ঢাকার শাদ এন্টারপ্রাইজ। চালানটিতে ৮১ টন ৫০০ কেজি পেঁয়াজ রয়েছে।

ঢাকা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন জানান, সিল্কওয়ে উড়োজাহাজের ‘সেভেনএল ৩০৮৬’ ফ্লাইটে পেঁয়াজের প্রথম চালানটি এসেছে। এখন দ্রুত শুল্কায়নের প্রক্রিয়া চলছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক রতন কুমার সরকার বলেন, চালানটিকে যাতে সংগনিরোধ ছাড়পত্র দ্রুত দেওয়া হয়, সে জন্য তিন সদস্যের একটি দল কাজ শুরু করেছে। চালানটি পরিদর্শন করে সংগনিরোধ ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

এ পর্যন্ত আকাশপথে চারটি উড়োজাহাজে পেঁয়াজের চালান আনার সময়সূচি ঠিক হয়েছে। শাদ এন্টারপ্রাইজ ছাড়াও চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের প্রথম চালান গতকাল বুধবার রাত ১টায় সৌদিয়া এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী বিমানে প্রথম চালানটি এসে পৌঁছাবে। আজ বৃহস্পতিবার বিসমিল্লাহ এয়ারলাইনসের পণ্যবাহী উড়োজাহাজে দ্বিতীয় চালান আসবে। আগামীকাল শুক্রবার তৃতীয় চালান আসবে সৌদিয়া এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী বিমানে।

পেঁয়াজে মওকুফ বিমানের মাশুল

আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মাশুল জনস্বার্থে মওকুফ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতার কারণে এই পণ্য দ্রুত আমদানি করতে বিমানের উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হচ্ছে। আকাশপথে যেকোনো পচনশীল দ্রব্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা চার্জ দিতে হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে সেটি আর দিতে হচ্ছে না।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে চার্জ মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য জনগণের স্বার্থে যত দিন এভাবে আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে, তত দিন পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এই চার্জ মওকুফের ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যবসায়ীকে এ ব্যাপারে সর্বতোভাবে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার পর গত সেপ্টেম্বরের শেষদিক থেকে বাংলাদেশে এই নিত্যপণ্যের দাম হু ?হু করে বাড়তে থাকে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দর ৩০-৪০ থেকে ২৫০ টাকায় ওঠে যায়।

এই পরিস্থিতিতে সরকার মিসর, তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। জাহাজে আনতে দেরি হবে বলে উড়োজাহাজে পেঁয়াজ আনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close