সংসদ প্রতিবেদক

  ১৫ নভেম্বর, ২০১৯

পেঁয়াজের ঝাঁজে উত্তপ্ত সংসদ

পেঁয়াজের উচ্চমূল্য নিয়ে সংসদ সংসদ সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে শিগগিরই দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারি ও বিরোধীদলের সদস্যরা এ দাবি জানান। এ সময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এ প্রসঙ্গে বলেন, আসলেই বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রধানমন্ত্রী এর আগে অনুরোধ করেছিলেন পেঁয়াজ কম খেতে। সেটাতে মানুষ সাড়া দিয়েছেন। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি সরকারের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। এজন্য দুর্নীতিবাজরা এটা করতে পারে। এটা মানা যায় না। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘দুই দিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী বললেন, পেঁয়াজের বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মন্ত্রী এ কথা বলার পরদিনই পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা হয়ে গেল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ২০০ টাকা কেজি। নিউজে দেখলাম পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় ভারতের কৃষকরা কাঁদছেন। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের এত ভালো সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী যদি নিজে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিতেন তাহলে হয়তো এ সমস্যাটা থাকত না।

চুন্নু বলেন, বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে; তারপরেও দাম বাড়ছে। এর বিরুদ্ধে একটি অভিযান চালানো দরকার। তাহলে সমস্যাটা আর থাকবে না। সন্ত্রাসীরা ক্রসফায়ারে মারা যায়। যারা পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন, তাদের একজন মারা যাক না। আমি মনে করি, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি সরকারের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। এটা দেখা দরকার। জরুরি ভিত্তিতে এর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, পেঁয়াজের দাম যখন ১০০ টাকা তখন বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী বললেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এরপরই পেঁয়াজের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে গেল। মন্ত্রী কেন এটা বললেন। তিনি এটা বলার কারণে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেয়ে গেলেন। এত সুদক্ষ মন্ত্রিপরিষদ তারা সুন্দরভাবে কাজ করছেন, তারপরেও পেঁয়াজের দাম এত বেশি বেড়েছে। এতে জনগণের মধ্যে একটি রিঅ্যাকশন তৈরি হয়েছে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বুলবুলের কারণেও পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। আজ পত্রিকায় দেখলাম পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকা। এটা কোনো দিনও আমরা ভাবিনি। আমরা আগেই মূল্যায়ন করি, আমাদের উৎপাদন কত, চাহিদা কত, শর্ট কত। যেটা শর্ট সেটা তুরস্ক, মিসর, মিয়ানমার থেকে আগেই আমদানি করি। তিনি অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, যারা পেঁয়াজ আমদানি করেন, তাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দিন। অন্তত কিছু দিনের জন্য এটি করা হোক। ডিউটিটা শূন্য করে দিন। অর্থমন্ত্রী এ ধরনের একটি ঘোষণা দিলে পেঁয়াজের দামে প্রভাব পড়বে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close