নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ অক্টোবর, ২০১৯

ওমর ফারুককে অব্যাহতি

চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি

যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সংগঠনটির সপ্তম কংগ্রেস উপলক্ষে সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদকে সদস্য সচিব করে জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপশি যুবলীগের নেতৃত্বের বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাসভবন গণভবনে যুবলীগের ৭তম সম্মেলনের বিষয়ে নির্দেশনা বৈঠক করেন সংগঠনের নেতারা। বৈঠক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে নানা অভিযোগের কারণে ওমর ফারুক চৌধুরীকে যুবলীগের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখনো কাউকে করা হয়নি বলেও জানা গেছে। এ ছাড়াও যুবলীগের আসন্ন কংগ্রেসসহ সংগঠনটির ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের বিষয়েও আলোচনা করা হয় বলে জানা গেছে।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এম হারুনুর রশিদ।

এ সময় যুবলীগের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখছি; তখনই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে যারাই অপরাধী হবে, তাদের কোনো ক্ষমা নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। কারণ আমরা যখন দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, স্বাভাবিকভাবে কিছু মানুষের ভেতরে একটা লোভের সৃষ্টি হয় আর তার ফলাফল হিসেবে সমাজটা ধ্বংসের দিকে যায়। কাজেই এ ধরনের অন্যায়-অবিচার কখনো বরদাশত করব না। সকলে মিলে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল থাকুক, সেটা আমরা চাই। কিন্তু অন্যায়ভাবে যদি কেউ কিছু করে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, এটা একান্তভাবে অপরিহার্য বলে আমি মনে করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ সমাজে যখন একটা পরিবর্তন আসে, তখন স্বাভাবিকভাবে দেখা যায় কিছু কিছু মানুষ রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। সমাজের সর্বস্তরের তৃণমূল মানুষের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন যাতে বজায় থাকে; আমরা সেদিকে লক্ষ রেখেই কাজ করে যাচ্ছি।’

ক্যাসিনো, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকসহ নানা অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকা-ে খোদ প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ জানিয়েছেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর দল থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়। এরমধ্যে যুবলীগ নেতারাও রয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় যুবলীগের ৭ম কাউন্সিল নিয়ে ডাকা বৈঠকে বেশ কয়েকজন নেতার গণভবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

এদিকে নানা অভিযোগে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ চারজন প্রেসিডিয়াম সদস্য গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তারা হচ্ছেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, শেখ মারুফ। তাদের সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন, শহিদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, শাহজাহান ভূঁইয়া মাখন, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সুব্রত পাল, মনজুর আলম শাহীন, নাসরিন জাহান চৌধুরী শেফালী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম জাহিদ, আমির হোসেন গাজী, মুহা. বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, আবু আহম্মেদ নাসিম পাভেল, আসাদুল হক, এমরান হোসেন খান, আজহার উদ্দিন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close