নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনী নদীর সামান্য পানি যাবে ত্রিপুরায়
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়
ফেনী নদী থেকে যে পরিমাণ পানি প্রত্যাহার করে ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম শহরে নেবে, তার পরিমাণ ‘খুব সামান্য’ উল্লেখ করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রতিবেশী হিসেবে মানবিকতার বিবেচনায় এতে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চুক্তিটির ব্যাখ্যা দেয় মন্ত্রণালয়।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুধু পানের জন্য বিধায় মানবিকতা ও প্রতিবেশীসুলভতাকে বিবেচনা করে তাতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পানির পরিমাণ উল্লেখ করে এতে বলা হয়, পানির পরিমাণ হলো ১ দশমিক ৮২ কিউসেক, যা কি না পরিমাণে খুব সামান্য, যেখানে ১ কিউসেক সমান ২৮ দশমিক ৩২ লিটার। মন্ত্রণালয় বলেছে, শুকনো মৌসুমে ফেনী নদীর পানির গড় পরিমাণ ৭৯৪ কিউসেক এবং বার্ষিক পানির গড় পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৮৭৮ কিউসেক। তাহলে দেখা যায়, ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক করে পানি প্রত্যাহার শুষ্ক মৌসুমের গড় পানি প্রবাহের শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত রেখা হয়ে অনেক দূর প্রবাহিত হয়ে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পাশ দিয়ে ফেনী নদী বাংলাদেশে ঢুকে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
খাগড়াছড়ি সীমান্তবর্তী ত্রিপুরার সাবরুম শহরে ফেনীর পানি প্রত্যাহারের আলোচনাটি ২০১০ সাল থেকে আলোচনায় বলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকায় ‘ডিসকাশন অব ওয়াটার রিসোর্স’ শিরোনামে বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের সেক্রেটারি লেভেল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এ মিটিং এর গৃহীত সিদ্ধান্তপত্রের ৯নং আর্টিকেলে বলা হয় টেকনিক্যাল লেভেল মিটিং এর সুপারিশের ভিত্তিতে ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি পানের জন্য দেওয়া যেতে পারে মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বছর দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকেও পানি দেওয়ার পক্ষে সম্মতি আসে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
"