নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৩ মে, ২০২৪

কাল খুলছে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

শনিবারের ছুটি বহালের দাবি শিক্ষকদের

তাপপ্রবাহের ছুটি শেষে আগামীকাল শনিবার থেকে যথারীতি মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে শনিবারের ছুটি বহালের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো আগামী রবিবার থেকে খুলবে। তবে বিদ্যালয়গুলো চলবে কয়েকদিন আগে ঘোষিত সময় অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এছাড়া তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম ও অ্যাসেম্বলিও (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

এতে জানানো হয়, তাপপ্রবাহের কারণে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। এতে আরো বলা হয়, এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শনিবার থেকে যথারীতি সারা দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে ক্লাস চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে ছয়দিন (শুধু শুক্রবার ছুটি) মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকার্যক্রম চলবে।

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের দীর্ঘ ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। এরপর ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরদিন গত সোমবার হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।

এদিকে অবিলম্বে শনিবারের ছুটি বহাল রাখা এবং বিগত দিনের কেড়ে নেওয়া নির্ধারিত ছুটি সমন্বয় করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানান শিক্ষক নেতারা। দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব বৃহস্পতিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে এক ধরনের টালবাহানা চলছে, যা হাস্যকর পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছে। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। শিখন-শেখানো কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

কোনো দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর সৃষ্ট নয় উল্লেখ করে তারা বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে। পূর্বেও এমন হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারা বলেন, জাতীয় দিবসগুলোয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অথচ সেদিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণের অজুহাতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরে রমজানের ছুটিও কমানো হয়েছে, যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close