প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৩ মে, ২০২৪

বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু, আহত ৯

বজ্রপাতে চার জেলায় দশজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৯ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাঙামাটিতে তিনজন, কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুই লবণচাষির, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও রাঙামাটি সদরে তিনজনের, সিলেটে এক কৃষিশ্রমিকের এবং কুমিল্লায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রাঙামাটি : রাঙামাটিতে বজ্রপাতে মৃতরা হলেন- রাঙামাটি শহরের নজির আহম্মেদ (৫০), সাজেকের টনিবালা ত্রিপুরা(৩৭) ও বাঘাইছড়ির উপজেলার বড়াদম মুসলিম ব্লক এলাকার বাহারজান বেগম (৬০)। আহতরা সবাই বাঘাইছড়ি উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বজ্রপাতে একটি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বজ্রপাতে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার ও রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শওকত আকবর খান।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক গ্রামে গরু নিয়ে বের হওয়ার সময় বজ্রপাতে বাহারজান বেগম নামে একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সাজেকের লংথিয়ানপাড়ার তনিবালা ত্রিপুরা নামে আরো একজন বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. শওকত আকবর জানান, বজ্রপাতে আহত মো. নজির নামে এক ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন নজির সকালে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরার জন্য বড়শি নিয়ে বসে ছিলেন। এমন সময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন।এদিকে, জেলার বাঘাইছড়ির বড়াদম গ্রামে স্বপন চাকমার দোকানে বজ্রপাতে সাতজন আহত হয়েছেন।

পেকুয়া (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে মৃতরা হলেন- মগনামা ইউনিয়নের কোদাল্যাদিয়া এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে দিদারুল ইসলাম (২৬) এবং রাজাখালী ইউনিয়নের ছরীপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে আরফাত (২০)।উপজেলার লবণের মাঠে পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু ঘটে। স্থানীয় ইউনিয়ন (ইউপি) সদস্য বদি আলম জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে কালবৈশাখীর সময় দিদারুল ইসলাম ও আরফাত মাঠেছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে বৃষ্টি শুরু হলে ওই দুই শ্রমিক লবণ তুলতে মাঠে ছুটে যান। এ সময়বজ্রপাতে লবণের মাঠেই দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

সিলেট : সিলেটের কানাইঘাটে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবুল আহমদ (৪৮) নামে এক কৃষিশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরো দুই কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবারদুপুরের দিকে উপজেলার দীঘিরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের শফিক হাওরে এ ঘটনা ঘটে।মৃত বাবুল কানাইঘটের দক্ষিণ কুয়রের মাটি এলাকার মৃত আবদুস সালামের ছেলে। বজ্রপাতে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বাবুলের ভাতিজা ফাহিম আহমদ (১৭) এবং মানিকপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (২০)।স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবুল আহমদসহ কয়েকজন স্থানীয় শফিক হাওরে বোরো ধান কাটতে যান। বজ্রপাতেঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হন তারা।আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুমিল্লা : কুমিল্লার চার উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার পৃথক সময়ে জেলার চান্দিনা, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও দেবিদ্বারে উপজেলায় এ চারজনের মৃত্যু হয়। দেবিদ্বার থানার ওসি নয়ন মিয়া, সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন, বুড়িচং থানার ওসি আবুল হাসানাত খন্দকার, চান্দিনা থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃতরা হলেন- চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের কিছমত-শ্রীমন্তপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে দৌলতুর রহমান (৪৭), সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ার ইউনিয়নের উত্তর সূর্যনগর গ্রামের আতিকুল ইসলাম (৫০), দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী গ্রামের মোখলেছুর রহমান (৫৮) এবং বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাচোরা গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আলম হোসেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close